সারাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবিটি রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তোলা -ফাইল ছবি
সারাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াল থাবায় গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১০৮ জন। এ সময় নতুন করে আরও একজনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃতু্যর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে। শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৩৮৮ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, বরিশালে ৭১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৩, খুলনায় ৪৮, ময়মনসিংহে ৯ ও রাজশাহীতে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৩ হাজার ১০৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এ সময় মারা যাওয়া ১২৫ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এ রোগে মারা গেছেন যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃতু্য। এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃতু্য হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃতু্য হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান। কক্সবাজারে গ্রাম-শহরে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ : পৃষ্ঠা- ১৬