বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। বাংলাদেশেও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হওয়ার কথা রয়েছে। মূলত শান্তিকে টেকসই রাখতেই এমন উদ্যোগ। বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই দিবসটিকে ঘিরে নানা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শান্তিকে কীভাবে টেকসই করা যায় সেসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সারা বিশ্বে দিবসটি পালনের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলো ১৯৮২ সাল থেকেই দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। মূলত একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে 'শান্তির ঘণ্টা' বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের সূচনা হবে। এই ঘণ্টা বাজিয়ে যুদ্ধের পরিমাণ যে মৃতু্য, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে 'স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক' বাণী খোদাই করা রয়েছে। এই দিনটি বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেয়, পৃথিবীটাই মানুষসহ সকল প্রায় সকল প্রাণীর বাসভূমি। এখানে থাকতে হলে শান্তিতে, বন্ধুত্বপূর্ণভাবে ও সকলের সঙ্গে সকলের সদ্ভাব বজায় রেখেই চলতে হবে। আর যে বিশ্বে শান্তি নেই সেখানে থাকা যায় না। ফলে ভালো করে থাকতে চাইলে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি।
যারা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে নানা কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন এই দিনটিতে তাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। ঝগড়া, ঝামেলা, মারপিট, যুদ্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে কোনো সমস্যারই সমাধান করা যায় না। দুটো বিশ্ব যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে, এতে খালি প্রাণহানি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ে, কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই বিশ্বে শান্তির প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দিতেই প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।