খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা

দুই জেলায় সহিংসতায় ৪ জন নিহত সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে রাঙামাটি জেলাতেও। খাগড়াছড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় দুপুর দুইটা থেকে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ জারি করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত আদেশে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে এদিন সকাল থেকে রাঙামাটিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনার পর পৌর এলাকায় বেলা একটা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। এর আগে খাগড়াছড়িতে 'পাহাড়ি-বাঙালি' সংঘর্ষ ও মৃতু্যর ঘটনার জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সেখানে সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষ ও মৃতু্যর ঘটনার প্রতিবাদে সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিল বের হয়। তারা শহরের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সড়কে চলাচলকারী বেশকিছু বাস-ট্রাক-অটোরিকশাও ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। এরপরই লাঠিসোঁটা হাতে পাহাড়িদের ধাওয়া করে বাঙালিরা। শুরু হয় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। বাঙালিদের পালটা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। আগুন দেওয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন অন্তত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এক পর্যায়ে শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা। রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানান, 'সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বিনা উসকানিতেই দেদার বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।" এর মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ জনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার। পরে আহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, আরও ছয়-সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। এছাড়া আগুনে ফাইবার অপটিক্যাল কেবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেটের পরিচালক মো. শাহীন। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল দল কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩ :এদিকে, খাগড়াছড়িতে 'পাহাড়ি ও বাঙালিদের' মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃতু্য হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ। নিহতরা হলেন- ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। ডিআইজি পলাশ বলেন, 'বৃহস্পতিবার 'পাহাড়ি ও বাঙালিদের' মধ্যে সংঘর্ষে দীঘিনালায় ধনঞ্জয় এবং সদরে রুবেল ও জুনান আহত হয়েছিলেন। পরে তাদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধনঞ্জয় এবং রাত দেড়টায় রুবেল ও জুনান মারা যায়।' এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় 'পাহাড়ি ও বাঙালিদের' মধ্যে সংঘর্ষ থেকে স্থানীয় বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। জেলা পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল বলেন, 'সেখানে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা চলছিল। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়।' স্থানীয়রা বলেন, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে 'গণপিটুনিতে' মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। এতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। দীঘিনালার এই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে সদরসহ পুরো জেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। থেমে থেমে গভীর রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, 'হাসপাতালে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে ৯ জনকে। তারা বেশির ভাগই সদর উপজেলা থেকে রাতে এসেছেন। এর মধ্যে তিনজন মারা যান।' তিনি আরও বলেন, 'গুরুতর আহত চারজনকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন বাঙালি রয়েছেন।' নিহত তিনজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের মৃতু্যর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে, জানান রিপল বাপ্পি চাকমা। এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার সকালে দীঘিনালা লারমা স্কয়ারে যান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দীঘিনালা জোন অধিনায়ক। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, 'ঘটনার যাতে পুনারাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য পাহাড়ি ও বাঙালি উভয়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করছি।' বৃহস্পতিবার আগুনে পুড়ে অন্তত ১০২টি দোকান ছাই হয়ে গেছে উলেস্নখ করে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। এদিকে জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওমর ফারুক বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কালকে রাত থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত আছে। বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।' এদিকে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দীঘিনালার চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তি স্থাপনের বিষয়ে সকল শ্রেণি-পেশা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, বাজার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ, অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. লুতফর নাহার শারমিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা, বাজার চৌধুরী জেসমিন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, নলেজ চাকমা, গগন বিকাশ চাকমা, চন্দ্র রঞ্জন চাকমাসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকানদারের তালিকা করে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এদিকে, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে উলেস্নখ করে তিন পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তী সময়ে তার মৃতু্যর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত ও ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বার্তায় বলা হয়েছে, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যেকোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দন্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে। আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (আজ) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবে বলে বার্তায় জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই প্রতিনিধিদলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী থাকবেন। প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়িদের ওপর 'হামলার' প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে 'বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা'। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে 'বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা' ব্যানারে শতাধিক মানুষ শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে। পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যায় বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ২৫ মিনিট তারা শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইনস্টা চাকমা নামের একজন বলেন, 'খাগড়াছড়িতে আমাদের ভাইদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা পাহাড়ে এমন রক্তপাত দেখতে চাই না। আমরা এর নিন্দা জানাই। কোনো আদিবাসীর ঘর-বাড়ি জ্বালানো চলবে না।' রিপন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, 'আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে চাই। পাহাড়ে সেটলার আর সেনাবাহিনীর হামলা বন্ধ করতে হবে। সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।' সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়কে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশে পরিণত করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এক সময় পাহাড়িরা সংখ্যাগুরু থাকলেও 'ডেমোগ্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের' মাধ্যমে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা হয়েছে। এমন বাস্তবতায় সমাবেশ থেকে কিছু দাবি জানিয়েছে 'বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা'। এর মধ্যে দীঘিনালায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, পাহাড়ে গুলিতে নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, জুম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধবিহার পুনর্নির্মাণ করা। প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন, খাগড়াছড়ির স্টাফ রিপোর্টার রিপন সরকার, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি এম মহাসিন মিয়া ও নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন রনি।