১৯ জেলায় বইছে দাবদাহ আরও বিস্তারের আভাস

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আশ্বিনের শুরুতেও দেশের ১৯ জেলায় মৃদু দাবদাহ বইছে, যা আরও বিস্তার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, 'দাবদাহ আপতত ২-৩ দিন কমবে না। বরং আজ (শুক্রবার) আরেকটু বাড়তে পারে, আরও জেলায় বিস্তার লাভ করবে।' তবে আগামী মঙ্গলবারের পর সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে বলে জানান তিনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত আছে। বুধবার রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু দাবদাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র দাবদাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। এ ছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৪৬, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত।