শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাভার-আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা চালু, বন্ধ ২৫টি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাভার-আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা চালু, বন্ধ ২৫টি

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বুধবার বেশির ভাগ শিল্পকারখানা চালু ছিল। এদিন সকাল থেকে এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তবে এ শিল্পাঞ্চলে বন্ধ ছিল ২৫টি শিল্পকারখানা। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি ছিল ৫টি কারখানায় এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ২০টি কারখানা।

এদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে নিজ নিজ কারখানার সামনে এ কর্মসূচি করেন তারা। ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

এদিকে, বুধবার দুপুরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আশুলিয়ায় মোট ২৭২টি কারখানার মধ্যে শ্রম আইন-২০০৬-এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৬টি। কারখানা খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১১টিতে। আশুলিয়ায় চালু কারখানার সংখ্যা ২৪৫টি। আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে ২৬৪টি কারখানায়। বেতন পরিশোধ হয়নি ৮টি কারখানায়।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ সূত্রে জানা যায়,

বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে ওষুধ, চামড়াজাতপণ্য প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা উপস্থিত হলেও কাজ বন্ধ রেখেছিলেন।

সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হন। অধিকাংশ কারখানায় কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখেন। এ ছাড়া পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের সাময়িক বরখাস্ত করা শ্রমিকরা নবীনগর থেকে চন্দ্রাগামী সড়কের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখানে থেকে সরিয়ে দেন।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজ (বুধবার) ২৫টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। পাঁচটি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক উপস্থিত হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'

টঙ্গীতে ৪ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

এদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে নিজ নিজ কারখানার সামনে এ কর্মসূচি করেন তারা। এতে বন্ধ ছিল কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম।

ওই কারখানাগুলো হলো- মেঘনা সড়ক এলাকার এমট্রানেট গ্রম্নপের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেড ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানা; খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন ড্রেসেস লিমিটেড ও টঙ্গী বিসিকের টসিনিট কারখানা। এসব কারখানায় সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কর্মকর্তার পদত্যাগ, ঈদ বোনাস, পর্যাপ্ত ছুটিসহ মোট ১৩ দফা দাবিতে মঙ্গলবার কারখানার ভেতর দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভে নামেন কিছু শ্রমিক। এদিকে একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন টসিনিট কারখানার শ্রমিকরাও।

সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে বাকি অর্ধেক বেতনের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কারখানার ভেতর কাজ বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমরা ওই চার কারখানার শ্রমিকদের নানাভাবে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে