উত্তরায় আ'লীগ নেতার বাসা-অফিসে পিস্তল গুলি, স্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

তুরাগ (উত্তরা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মাহবুব হাসান কাবুলের বাসা এবং অফিস কক্ষ থেকে কয়েক রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কাবুলের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া আক্তার (৪৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ওই আওয়ামী লীগ নেতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় শিক্ষার্থীদের ওপর ১৫ রাউন্ড গুলি চালায়। মাহবুব হাসান কাবুল জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের আ'লীগ দলীয় সাবেক এমপি ও যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি নাজমা আক্তারের বড় ভাই। তিনি উত্তরায় ছাত্র হত্যা মামলার ৪৫নং আসামি। সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭ নম্বর সেক্টর এলাকার ১০নং রোডে অবস্থিত ওই আ'লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় ফ্ল্যাটের কক্ষ থেকে ম্যাগাজিনসহ ১টি পিস্তল, নয় রাউন্ড তাজা গুলি, জিডির কপি ও পিস্তলের লাইসেন্সসহ আসামি মোছা. রোকেয়া আক্তারকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তার স্বামী (হত্যা মামলার আসামি) মাহবুব হাসান কাবুল কর্তৃক ১৫ রাউন্ড গুলি চালানোর স্বীকারোক্তিমূলক একটি জিডি পাওয়া গেছে। ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে এসব গুলি ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, অস্ত্রটি বৈধ হলেও উদ্ধারকৃত গুলিগুলো অবৈধ। সেগুলো অন্য পিস্তলের গুলি ছিল। আমরা আসামি কাবুল এবং অবৈধ পিস্তলটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। মাহবুব হাসান কাবুল উত্তরায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। অপরদিকে সূত্র জানায়, পরবর্তীতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১৮নং রোডের ২নং বাড়ির নবম তলায় অবস্থিত কাবুলের পরিচালিত 'হোসেন এন্ড হোসেন অ্যাসোসিয়েটস' নামক অফিসে অভিযান চালালে সেখানেও অবৈধ গুলি-সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এ সময় অফিস কেবিনেটের ড্রয়ার থেকে ৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি কালো রংয়ের পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু, ২টি ওয়াকিটকি ও ৫টি পুলিশ ইউজিং লেখা ধাতব লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯/এ ধারায় মামলা (মামলা নং-১৯) রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান। এদিকে, গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিলে গুলিবর্ষণকারী স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ দেলোয়ার হোসেন রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছাত্রহত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছের্ যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। গ্রেপ্তার রুবেল ঢাকা-১৮ আসনের এমপি ও আ'লীগ নেতা খসরু চৌধুরী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খানের অনুসারী ছিল।