ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার এই বৈঠক নিয়ে এবার মুখ খুললেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জনগণ একটি উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে।
ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফর নিয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তিনি সেখানে একজন মার্কিন সহায়তাকারী প্রতিনিধি হিসেবে গেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদের সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ডোনাল্ড লু।
ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফর সম্পর্কে ওই সাংবাদিক প্রশ্নে করেন, বাংলাদেশে ডোনাল্ড লু'র বৈঠক সম্পর্কে কী আপনার জানা আছে? আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশ যেদিকে যাচ্ছে- তা যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মূল্যায়ন করে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘোষণা আছে তারা বাংলাদেশে সাহায্য করবে, সে বিষয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী?
এসব প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে এবং সেখানে সুশাসন ও বাণিজ্য প্রসারিত করতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছে হিজবুত-তাহরীরের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এটা কি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মার্কিন প্রচেষ্টায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন মিলার।
উলেস্নখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত শনিবার ঢাকায় আসে। সেদিন বিকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দিলিস্ন থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ডোনাল্ড লুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফেভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল ও মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।