কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা অবশেষে তাদের ৫ দিনের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। এতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উলস্নাহ এবং সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বৈঠক করেন। বৈঠকে তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় চিকিৎসক। ফলে বিকাল ৩টা থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে বিকাল ৩টা থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সব বিভাগ সচল হয়েছে। চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা। হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সেবার জন্য মানুষের কষ্ট লাঘবে আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবি মোতাবেক হাসপাতালে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে সার্বক্ষণিক। হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদেরও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। একই সঙ্গে হাসপাতাল ও চিকিৎসকের হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নুরুল আজিম নামে রোগীর মৃতু্যকে কেন্দ্র করে তার স্বজনরা হাসপাতালের সিসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব গাজীকে মারধর করে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসকরা হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করায় বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসাসেবা।