আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ডেঙ্গু

এবার ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো- স্থানীয় পর্যায়ে ঠিকমতো মশক নিধন না করা, গণ-আন্দোলনের সময় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে হামলায় মশা মারার মেশিন নষ্ট হওয়া, পরিবর্তিত অবস্থায় প্রশাসনের ঠিকমতো গুছিয়ে না উঠতে পারার খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

সাখাওয়াত হোসেন
দেশের আবহাওয়ার ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। অক্টোবরেও দুটি লঘুচাপের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে। তারই প্রভাব পড়েছে আবহাওয়ায়। যে কারণে বাংলাদেশের ঋতুচক্রে পরিবর্তন আসছে। বর্ষাকাল বিদায় নিলেও এবার লা নিনোর কারণে প্রলম্বিত হতে পারে বর্ষা। শরত, হেমন্ত- এমনকি শীতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে নভেম্বর পর্যন্ত- এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের যুক্তি, এবার অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমের প্রভাব থাকবে। এ ছাড়া, নভেম্বরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদরা। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে পালস্না দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কাও প্রবল হয়ে উঠেছে। সরকারের দেওয়া হিসাবেই বলা হচ্ছে, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগস্ট মাসে ৩১ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৬ হাজার ৫২১ জন। আর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে ৫ হাজার ৭৪৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এ হিসাবে আগস্ট মাসে গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছে ২১০ জন, যা সেপ্টেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১০ জনে। আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে মৃতু্য সংখ্যা ছিল ২৭ জন। আর সেপ্টেম্বরের প্রথম দু'সপ্তাহে মৃতু্য হয়েছে ২৩ জনের। এর আগে জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৬৯ জন এবং মৃতু্যর সংখ্যা ১২ জন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ও মৃতু্য যেভাবে উচ্চ হারে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উচ্চহারে বাড়লে মৃতু্যর হারও একইভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, এবং এ মাস হতে পারে চলতি বছরের 'পিক সিজন'। তাদের ভাষ্য, যত বৃষ্টিপাত হবে, গরম বেশি পড়বে, যত আর্দ্রতা বাড়বে যত বেশি অপরিকল্পিত নগরায়ন হবে, তত বেশি ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এডিসের জন্য সারা বছর একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এবার ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো- স্থানীয় পর্যায়ে ঠিকমতো মশকনিধন না করা, গণআন্দোলনে সময় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে হামলায় মশা মারার মেশিন নষ্ট হওয়া, পরিবর্তিত অবস্থায় প্রশাসনের ঠিকমতো গুছিয়ে না উঠতে পারার খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। মেয়র না থাকায় নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রশাসকরা। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে মশকনিধন কার্যক্রম তদারকি করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। তদারকির জন্য বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি অঞ্চলে ১০টি দল গঠন করা হয়েছে। আর দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) থেকে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যারা বিভিন্ন এলাকায় মশা মারার কাজ করছেন, তাদের শরীরে ডিভাইস যুক্ত করা আছে। এর মাধ্যমে এসব কর্মীর গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, আগস্ট মাসে সহিংসতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৫টি ওয়ার্ডের মশকনিধনের যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত বা চুরি হয়েছে। উত্তর সিটিতে ১৫টি ওয়ার্ডের মশকনিধনের সরঞ্জাম কমবেশি নষ্ট হয়েছে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে যে পরিকল্পনা আছে, সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। কাউন্সিলর না থাকার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। এ জন্য টিম করা হয়েছে। তবে আগে থেকেই বলা হয়েছিল ডেঙ্গু বাড়বে আর সেটা জলবায়ুগত কারণে। আর ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহা. শের আলী বলেন, দক্ষিণ সিটির আওতায় হাসপাতালে যেসব রোগী মারা যাচ্ছে, এগুলো এই করপোরেশনের বলা হচ্ছে। তবে তারা হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন যে অনেক রোগী ঢাকারে বাইরের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই প্রশাসক বলেন, তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতার কথা বলা হচ্ছে, তেমন হবে না। কিন্তু রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, মুগদা, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, মিরপুর, পলস্নবী, তেজগাঁও, বাড্ডা এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম গত দুই মাসে খুব বেশি চোখে পড়েনি। খিলগাঁও এলাকার মুদি দোকানি মিলন মিয়ার ভাষ্য, শেষ কবে এলাকায় মশা মারতে লোক আসছে, মনে নাই। ১৫ দিন ধরে মশার উৎপাত বাড়ছে। ভোররাতে মশা বেশি কামড়ায়। সরকার পতনের পর কাউকেই মশা মারতে দেখেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা অনেকেই। রামপুরা মহানগর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল আলম জানান, সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে এলাকায় মশার মারার কোনো তৎপরতা চালানো হয়েছে তা তিনি দেখেন নাই। কেউ দেখেছেন বলেও তিনি শোনেন নাই। এলাকার অনেক বাড়িতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও কম নয়। এদিকে বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে- এমন আগাম সতর্কবার্তা আগেই জানিয়েছিলেন কীটতত্ত্ববিদরা। এ ব্যাপারে কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, দুই মাস আগে থেকেই তিনি ফরকাস্টিং মডেল করে জানিয়েছেন যে সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হবে। কেউ আমলে নেয়নি। গবেষকদের কথা কেউ কখনো আমলে নেয় না। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়বে জানিয়ে এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্ণীপুর, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, মেহেরপুর, ঢাকার পাশের ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জে পরিস্থিতি খারাপ হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে ওই এলাকায় সংক্রমের হার বেশি, যা পুরো চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন জানিয়েছেন, বৃষ্টির সঙ্গে এডিস মশার প্রজনন বাড়ে। তাই এ বছর বর্ষা দীর্ঘায়িত হলে ডেঙ্গু মৌসুমও লম্বা হবে। মশক নিধনে তৎপরতা ও জনসচেতনতা না বাড়ানো গেলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে শুধু বর্ষা প্রলম্বিত হওয়ার কারণেই শুধু এবার ডেঙ্গু মৌসুম দীর্ঘায়িত হবে- এমনটা মনে করেন কীটতত্ত্ববিদদের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, ঢাকায় এডিস মশার ওপর জরিপ করে দেখা গেছে ঢাকায় অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে কমিউনিটিতে মশার উপদ্রব যথেষ্ট বেড়েছে। বিশেষ করে বহুতল ভবনগুলোয়, পার্কিংয়ে সারা বছর পানি থাকে, এ ছাড়া নির্মাণাধীন ভবন এবং বাসা-বাড়িতে জমিয়ে রাখা ওয়াসার পানি, ওয়াসার চৌবাচ্চার লিকেজ থেকে জমা পানি এমন চারটি স্থানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এখানে বৃষ্টির কোনো যোগসূত্র নেই। এ ছাড়া ডেঙ্গুর ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার ধরন ও বৈশিষ্ট্য বদলানোর কারণে এদের প্রকৃতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আগে যেখানে এই মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়াত, এখন এটি দিনে রাতে দুই বেলায় কামড়ায়। আগে যেখানে মশাটি স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করতো, বর্তমানে ময়লা পানিতেও এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বাইরের কৃত্রিম আলোতে সক্রিয় থাকায় এই মশা লম্বা সময় ধরে ডেঙ্গু সংক্রমণ করে যেতে পারছে। যে কারণে বিগত কয়েক বছর গড় মৌসুমেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা ও মশক নিধন তৎপরতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা মুখে যে দাবিই করুক না কেন, মহানগরীতে মশা মারা ও লার্ভা নিধন অভিযান যে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে তা নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাওলা এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিনে-রাতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। সন্ধ্যার পরে কয়েল জ্বালানো বা স্প্রে প্রয়োগ ছাড়া বাসা-বাড়িতে টেকা কষ্টকর। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মশককর্মীর দেখা মিলছে না। তাই ডেঙ্গুর এ ভরা মৌসুমে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। জাহিদুল আলম নামের এক বাসিন্দা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম বিদেশ পালাতে গিয়ে আটক হয়েছেন। তার অনুগতরাই মশকনিধন কর্মী। কাউন্সিলরের অনুপস্থিতিতে মশকনিধন কর্মীরাও লাপাত্তা। তাই ডেঙ্গু নিয়ে এলাকাবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এদিকে শুধু কাওলা নয়, গণঅভু্যত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নিধনের বিশেষ অভিযানে ভাটা পড়েছে। বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি পালিয়ে থাকায় মাঠ পর্যায়ে অনেকেই হাত গুটিয়ে বসে আছেন। পাড়া, মহলস্না ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলরের সমন্বয়ে নেই কোনো প্রচার কার্যক্রম। ডিএনসিসির চিপসের প্যাকেট, পস্নাস্টিক আর ডাবের খোসা কেনার কার্যক্রমও বন্ধ। মশা নিয়ন্ত্রণে ড্রোন, ব্যাঙ, হাঁস আর গাপ্পি মাছের ব্যবহারও নেই। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরকে এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় চিহ্নিত করা হয়। বর্ষার শেষ সময়ে এসে মাঝেমধ্যেই নামছে ঝুম বৃষ্টি। আর এ পানি জমে থাকায় প্রজননের অনুকূল পরিবেশ পেয়ে সবখানেই এখন মশার রাজত্ব। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে, বর্তমানে মশা নিধনে সব কার্যক্রমই স্বাভাবিক রয়েছে। ডিএনসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ওষুধের সংকট নেই। পাঁচ মাসের ওষুধ জমা আছে। জলাশয়ে ব্যবহারের নোভালরুন ট্যাবলেটও আছে। আর ম্যালেরিয়া অয়েল তাৎক্ষণিকভাবে পদ্মা অয়েল কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা যায়। তবে গত দুই মাসের মধ্যে কোনো জলাশয়ে নোভালরুন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ জানাতে পারেননি। একইভাবে দুই সিটির কোনো জলাশয়ের ঝোপঝাড়ও পরিষ্কার করা হয়নি। সকাল-সন্ধ্যা লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করতেও মশককর্মীদের কালেভদ্রে দেখেছেন নগরবাসী। মশার ডিমপাড়ার মতো পাত্রগুলোও ধ্বংস করা হয়নি। মশক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা মারার নামে সিটি করপোরেশনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। এই পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে। সিটি করপোরেশন যে কাজ করছে, তাতে খুব একটা মশা কমছে না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর আরও ভয়ঙ্কর চেহারায় দেখা যেতে পারে।