বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি বিশেষ অগ্রাধিকারে রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার নিয়ে সরকারের ধারণা ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এতে যুক্ত হতে পারে, তা নিয়ে ঢাকা সফররত উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাধারণ আলোচনা হয়েছে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
রোববার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সভার পর পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বলেন, প্রতিনিধিদলের এই সফরে প্রথম যে আশ্বাস, সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়। সেটারই প্রতিফলন হিসেবে সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাসেই যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। দ্বিতীয়ত, আর্থিক সংস্কারের যেসব খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, এর সব কটি খাতে তারা সার্বিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রম আইন নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে এবং এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য এই সফর একটি ভিত্তি হবে। সামনে আমরা এই আলোচনাকে বিভিন্ন পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাব।'
তিনি জানান, অন্তর্র্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেগুলোর বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে। সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি এই সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার বলে তাদের জানানো হয়েছে। আর্থিক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শ্রম পরিবেশ, মানবাধিকার সুরক্ষা, রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়
নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোন কোন খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে জসীম উদ্দীন বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এক মাসের কিছুটা বেশি। আজ (রোববার) বৈঠকে পরিবর্তিত যে পরিস্থিতি ও সরকারের সংস্কার বিষয়ে যে ধ্যান-ধারণা এবং এতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, তা নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'আমরা বড় আকারে আর্থিক খাতে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছি এবং পাচার হওয়া অর্থসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশেষায়িত জ্ঞান রয়েছে, সেটি হয়ত আমরা ব্যবহার করব, কিন্তু আলাপ-আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। এর চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগবে।'
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় আসার আগে দিলিস্ন সফর করেছেন। এই সফরে ভারত থেকে কোনো বার্তা নিয়ে এসেছেন কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশন আছে এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন আছে। আমরা যদি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই, এগুলো আমাদের জন্য পস্ন্যাটফর্ম।'
প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আমরা চেয়েছি কিনা, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, সেটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। এ ধরনের কোনো আলোচনায় আমরা মনে হয় এর আগে কখনো যাইনি। আমি অন্তত এ ধরনের কোনো আলোচনা করিনি।'
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, শ্রম সচিব, স্বরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
উলেস্নখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল শনিবার ঢাকায় এসেছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে
সহায়তা চান ড. ইউনূস
এদিকে, বাংলাদেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাতে এলে ড. ইউনূস এই সহায়তা চান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার স্বৈরশাসনের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজদের অর্থ দেশে ফেরত আনতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ।
ঘুষ-দুর্নীতি প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, তার প্রশাসন অর্থনীতি সংস্কার এবং পুনরায় সচল করতে দ্রম্নত পদক্ষেপ নিয়েছে। আর্থিক খাতে সংস্কার এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, তার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, এই সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করতে পারলে ওয়াশিংটন খুশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের দেশ অন্তর্র্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রমিক ইসু্য, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন নিউইয়র্ক সফর নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানের সময় আঁকা বিভিন্ন গ্রাফিতি নিয়ে একটি আর্টবুক উপহার দিয়েছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তার সঙ্গে দেখা করার পর সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে গ্রাফিতি আঁকা আর্ট বইটি উপহার দেন।
আর্ট বইটিতে ঢাকা ও অন্যান্য শহর এবং শহরের দেয়ালে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার বিপস্নবের সময় আঁকা কিছু সেরা শিল্পকর্মের ছবি রয়েছে।
গ্রাফিতিগুলোর ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব গ্রাফিতি ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার শাসন এবং তার নৃশংস বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী ছাত্র এবং তরুণদের আবেগ, আশা এবং আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।
ড. ইউনূস বলেন, আপনাদের ঢাকার দেয়ালের দিকে তাকানোর অনুরোধ করব। এই গ্রাফিতিগুলো এখনো আছে। শুধু বিপস্নবের পরই আঁকা হয়নি। জুলাই মাসে বিক্ষোভের সময় ছাত্ররা গ্রাফিতি আঁকার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনার শাসন ও তার বাহিনীকে অস্বীকার করেছিল।
জুলাই-আগস্ট বিপস্নবের সময় তরুণ চিত্রশিল্পীরা ঢাকার দেয়ালগুলোকে শক্তিশালী ক্যানভাসে পরিণত করেছিল এবং ঢাকা বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানী হয়ে ওঠে। তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য তারা স্স্নোগান এবং কবিতা লিখেছিলেন। তাদের বার্তাগুলো বিপস্নবের চেতনা এবং বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
এসব গ্রাফিতি আঁকার রং-তুলি কীভাবে জোগাড় হয়েছিল, সে কথা উলেস্নখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, তাদের কাছে রং ও ব্রাশ কেনার টাকা ছিল না। সাধারণ জনতা বিভিন্নভাবে তাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল।
এই সাক্ষাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
২০ কোটি ডলারের বেশি
সহায়তা দিচ্ছে দেশটি
এদিকে, বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এ লক্ষ্যে অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) চুক্তি সই হয়েছে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই চুক্তি সই হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, সুশাসন, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি ও মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হলো- বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত রাজস্ব ও আর্থিক খাত নিয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতের সংস্কার ও সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্য নিয়েও কথা হয়েছে; রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজার অনুসন্ধানও আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আলোকে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি) বা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুদান চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী হিসেবে আজ (রোববার) এই চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
সেই চুক্তির আলোকে বাংলাদেশকে মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি সংশোধনীর আলোকে বাংলাদেশকে ৪২৫ মিলিয়ন বা ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এবার ষষ্ঠ সংশোধনীর আলোকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউএসএআইডি ও ইউএসডিএর মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, সুশাসন, খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।