গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঝেনজিচালা এলাকায় গাছে ঝোলানো অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক যুবকের বিবস্ত্র-দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার গলাচিপা এলাকায় গভীর বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পুড়িয়ে হত্যার পর তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের লস্কারচালা ঝেনজিচালা এলাকার ইউসুফ আলীর। এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সপত্মাহ আগে জাহাঙ্গীর হঠাৎ করে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু শুক্রবার বিকালে উপজেলার গলাচিপা এলাকায় গভীর বনের ভেতর একটি গাছে পোড়া ও বিবস্ত্র অবস্থায় একটি লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশটি জাহাঙ্গীরের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, তাকে পুড়িয়ে হত্যার পর গলায় লুঙ্গি পেঁছিয়ে গাছে বিবস্ত্র অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে কি কারণে নৃশংস এ হত্যাকান্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, 'গত ৪/৫ বছর আগে জাহাঙ্গীর বিয়ে করেন। তার সংসারে স্ত্রী, তিন বছরের এক মেয়ে ও দুদিন বয়সের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। হঠাৎ করেই শুক্রবার তিনি নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার থানায় জিডি করেছি। এরই মধ্যে ভাইয়ের লাশ পেলাম। যারা তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।'
কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) যোবায়ের আহম্মেদ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের পরই জানা যাবে।