সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হাতুড়িপেটায় হত্যা, ঘাতক আটক
প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠে মাদকাসক্ত এক যুবকের হাতুড়ির আঘাতে চুমকি খাতুন নামে এক প্রতিবন্ধী তরুণী নিহত হয়েছেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘাতক ইলিয়াস হোসেনকে আটক করেছের্ যাব। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চুমকি খাতুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের ভ্যানচালক রেজাউল ইসলামের মেয়ে এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘাতক ইলিয়াস হোসেন (৩০) তালা উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের পরিবহণ সুপারভাইজার একরামুলের ছেলে।
নিহত চুমকির পিতা রেজাউল ইসলাম বলেন, 'সকাল ৯টার দিকে চুমকি গান গাইতে গাইতে খাবার কিনতে বাড়ির পাশের একটি মুদি দোকানে আসছিল। এ সময় মাদকাসক্ত বখাটে যুবক ইলিয়াস হোসেন তাকে মাথার পেছন দিক থেকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।'
স্থানীয় বাবলুর রহমান বলেন, 'মাদকাসক্ত হওয়ায় কয়েক মাস আগে ইলিয়াসের বউ তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর
থেকে চুমকিকে সে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। সে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার ক্ষোভে আজ ইলিয়াস চুমকিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা ইলিয়াসকে মারধর করে গাছে বেঁধে রেখের্ যাবকে খবর দেয়। খবর পেয়ের্ যাব সদস্যরা তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।'
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মমতাজ মুজিব জানান, 'হাতুড়ির আঘাতে মেয়েটির মারাত্মক হেড ইনজুরি হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃতু্য হয়।'
সাতক্ষীরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে স্বজনদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো এফআইআর করা হয়নি।