দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও এর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক শুক্রবার দুপুরে বলেন, 'সুস্পষ্ট লঘুচাপটি শনিবার (আজ) নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এটি ভারতের দিকে যাবে। এর প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, শনিবারও হবে। আর রোববার পূর্ব দিকে বৃষ্টি কমবে, তবে পশ্চিম দিকে থাকবে।'
ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘ তৈরি অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে ওই বার্তায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সেঙ্গ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারে। এ ছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফে ২৩৪, পটুয়াখালীতে ১৭৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১০০ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত।