বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি যেন অটুট রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে এই ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে। এই অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাস্ট নিউজের সম্পাদক এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউ ডিজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডে।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তার মধ্যে অন্যতম। অনেকেই দেশে থাকতে পারেননি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে, অনেকে দেশের বাইরে থেকে সংগ্রামের অংশ নিয়েছেন। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার বিপস্নবের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, বিজয় তখনি সুসংহত হবে যদি এটা ধরে রাখতে পারি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা ড. নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুলস্নাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আব্দুল হাই সিকদার। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, যারা দেশে থেকে শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারাই 'আসল বীরশ্রেষ্ঠ'।
প্রসঙ্গত বিগত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনে জালিয়াতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদেশে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম সাংবাদিক মুশফিক। দীর্ঘ ৯ বছর পর বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন।
অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, খেয়াল রাখতে হবে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা যেন আবার কোনো নেতৃত্বে না চলে যায়। পাশের দেশে বসে এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
'বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরাই চাঁদাবাজি করছে'
এদিকে, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করা ব্যক্তিদের 'আওয়ামী লীগ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী' বলে দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সরকার পতনের পর পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে নতুন কাউকে দলে জায়গা না দিতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সেলিমা রহমান বলেন, 'আমাদের সুশৃঙ্খল থাকতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আবারও বলছি, আপনারাই এদেশের ভবিষ্যৎ, আপনরাই এদেশ শাসন করবেন, আপনারা সততার সঙ্গে সংঘবদ্ধ হোন। এখনো বিএনপির নামে এই চাঁদাবাজি, বিভিন্ন রকম কথা আসছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এরা কিন্তু বিএনপি নামে অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন লোকজন। আপনারা সাবধান, এখন নতুন কোনো কাউকে দলে ঢোকাবেন না। কারণ এরা আওয়ামী লীগের, এরা এখন দলে ঢোকার চেষ্টা করছে।'
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় সেলিমা রহমান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের আন্দোলনে যেসব দল বিএনপির সঙ্গে সাড়া দিয়ে পথে নেমেছিল, সেসব শরিক দলের মধ্যে ঐক্য আরও দৃঢ় করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, 'সেই যুগপৎ আন্দোলনে উনারাও সঙ্গে ছিলেন, উনারাও আন্দোলন করেছেন। আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছি। এখন চাই সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকার। আমাদের এক থাকতে হবে।'
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী-জনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান সেলিমা রহমান।
ক্ষমতাচু্যত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'নতুন প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর তারা ভোট দিতে পারেন নাই। কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে নাই, বিনাভোটে একটা অবৈধ সরকার বার বার ক্ষমতায় এসে এদেশের জনগণের পেটে লাথি মেরে তাদের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছে।'
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বরেন, 'যে আন্দোলনটা আমাদের ছাত্র-জনতা করেছে সেই আন্দোলনে উনি (শেখ হাসিনা) গণহত্যার মতো নির্বিচারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেন। আপনারা দেখেছেন সেই একটা চিত্র যেখানে এক পুলিশ অফিসার গুলি করে মেরে লাশগুলোকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। কী নির্মম, কী নিষ্ঠুর কাজ।'
স্বৈরাচাররা 'চুপচাপ নেই' মন্তব্য করে সেলিমা রহমান অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক অসন্তোষ বা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশের সাবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'স্বৈরাচার ভারতে থেকে বিভিন্নভাবে অপচার করছে। তারা বিভিন্নভাবে ছল-চাতুরি করে ষড়যন্ত্র করছে সেখানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
প্রেস ক্লাবের আকরম খাঁ হলে জিয়া প্রজন্মের উদ্যোগে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
জিয়া প্রজন্মের সভানেত্রী পারভীন কাউসার মুন্নির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, জিয়া প্রজন্মের জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সারোয়ার হোসেন রুবেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
'শেখ হাসিনার ১শ' বছর জেল হওয়া উচিত'
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, তারেক রহমান যদি ২১ আগস্টের মামলায় বিনাকারণে আসামি হতে পারেন, খালেদা জিয়া যদি দুই কোটি টাকার মামলায় পাঁচ বছর জেল খাটতে পারেন, তবে ১১৮ মামলার জন্য শেখ হাসিনার ১০০ বছর জেল হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আপনি মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য চেষ্টা করে গেছেন। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আপনার সেই আশা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইউটিউব থেকে শুনেছি তিনি বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে আছেন। এমন কথা বলতে তার লজ্জা লাগে না? হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ তো চোর ছিলেন, বাটপার ছিলেন। ক্ষমতা দখল করেছিলেন জোরপূর্বক। তবুও তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি।
তিনি বলেন, আপনার পিতা ও পরিবারকে নিয়ে এত অহংকার, স্বাধীনতা নাকি আপনারা এনেছেন, তাহলে পালালেন কেন? পালালেন এই কারণে, আপনি ছিলেন চোর, আপনি ছিলেন ডাকাত, আপনি ছিলেন গণতন্ত্র হত্যাকারী। আপনি ছিলেন ইলিয়াস আলী চৌধুরী আলমকে গুমকারী, খালেদা জিয়াকে বিনাকারণে মামলা দেওয়ার হুকুমদাতা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, যে লোকটি আমার পা অচল করে দেন, যে হারুন (ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ) বিএনপির অফিস তছনছ করে দেন, যে বিপস্নব-মেহেদিরা বিএনপির অফিসে ঢুকে অস্ত্র রেখে আমাদের মামলা দেন, তাদের আইনের আওতায় আনুন। মানুষকে একটু দেখান। এরাই অত্যাচারী এরাই ছিল ক্ষমতালিপ্সু। এরাই শেখ হাসিনার ডানহাত।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা দেশের জনগণ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। ১৬ বছরের ৯ বছর আমি জেল খেটেছি। কোনোদিন বাইরের খাবার খেতে পারিনি। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত সরকারের দোসর সালমান এফ রহমানকে গুলশান ও ধানমন্ডির রান্না করা খাবার খাওয়াবেন, তা বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিনও মেনে নেবে না।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির সাবেক এ চিফ হুইপ বলেন, আপনার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমার নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি করেন না। তিনি বলে দিয়েছেন, সময় দিলাম। মৃত ব্যক্তির ভোট যেন আর বাংলাদেশে না হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত ১৬ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। কানাডায় বেগমপাড়া করেছেন তাদের নেতারা। দুবাইয়ে বাড়ি করেছেন। আমাদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, যাকে আমরা মহামান্য বলি, ইউটিউবে শুনি তারও নাকি কিছু কিছু বাড়িঘর বাইরে দেখা যায়। লজ্জা হয় না। শরম লাগে না?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন এক দেশ হবে, যে দেশে গণতন্ত্র থাকবে, যে দেশে মিটিং করতে কোনো অনুমতি লাগবে না, যে দেশে মানুষ নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট তৈরি করবে না। এমন একটি সরকার বাংলাদেশে আসবে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথায় মায়া, কোথায় মতিয়া চৌধুরী? কোথায় আবদুল হামিদ? কোথায় শাজাহান খান? কোথায় শামীম ওসমান? আপনাদের চেহারা তো দেখি না। পালিয়েছেন নাকি, বাংলাদেশে আছেন তা আমার বিষয় নয়। কতদিন পালিয়ে থাকবেন?
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুলস্নাহ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
'বিএনপির ৮শ'র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে'
এদিকে, দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার দানবীয় সরকার পতনে দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপির ৮শ'র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে, অসংখ্য নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। ১৫ বছরের আন্দোলনের পটভূমিতে গত জুলাইয়ে গণ-অভু্যত্থানের অগ্নি মশাল জ্বেলে উঠছিল তার চূড়ান্ত পরিণতি হয়েছে শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দিনাজপুরে গুলিতে আহত দিনমজুর রশিদুল ও তার সন্তানকে তারেক রহমানের নির্দেশে দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রিজভী তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, খাদ্য ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন।
গণমাধ্যমে প্রচারিত শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ফোন রেকর্ডের বিষয়ে রিজভী বলেন, 'পতিত স্বৈরাচার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন হারানোর বেদনা থেকে। কারণ শেখ পরিবার বাংলাদেশটাকে জমিদারি মনে করতেন। এভাবে ১৫-১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। যে বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে, তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। তাকে অদৃশ্য করে দিয়েছে। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বিরোধী কোনো কণ্ঠস্বর তিনি রাখতে চাননি। এটি দমনের জন্য একদিকে যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালাকালুন করেছেন, প্রত্যক্ষভাবে দমনের জন্য এমনভাবের্ যাব-পুলিশকে গঠন করেছিলেন যাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিল আওয়ামী লীগ ঘরানার অথবা যুবলীগের-ছাত্রলীগের।'
তিনি বলেন, বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি-দখলবাজির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রশিদুল গুলিবিদ্ধ হন। তার স্ত্রীও সেসময় সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে সন্তানকে দত্তক রেখে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা করান রশিদুল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।