শেরপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ নিহত দুই
প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় দুই মহলস্নাবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে দোকান ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সোমবার রাতে শহরের গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহলস্নাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শহরের গৌরীপুর এলাকার হাফেজ আজাহার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫) ও একই মহলস্নার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (৩২)। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শ্রাবণ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার তুচ্ছ বিষয়
\হনিয়ে গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহলস্নার দুই দল কিশোরের মধ্যে শাপলা চত্বরে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জেরে রাতে দুই মহলস্নার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহলস্নার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নতি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে শ্রাবণ মারা যান। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণ নৌহাটা মহলস্নায় বসবাস করতেন।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সংঘর্ষের পর এলাকায় টহল শুরু করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। আহতরা সবাই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।'