রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত অন্তত ১৮ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন উদ্দিন জানিয়েছেন। বিকাল ৫টার দিকে তিনি বলেন, কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, সংঘর্ষে আহতদের শরীরে লাঠি ও ইটের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কেউ নেই।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বদিউজ্জামান বাদল বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীও এসেছিলেন। সেখানে কথা কাটাকাটির জেরে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সামান্য মারধর করা হয়। বিষয়টি ঘটনাস্থলেই মীমাংসা করা হয়। কিন্তু আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সেটি মেনে নেননি। পরে তারা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় এলাকায় এসে জড়ো হন। এরপর ঢাকা কলেজে হামলার চেষ্টা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তাদের অনেকেই আহত হন। ঘটনা সম্পর্কে আইডিয়াল কলেজের কোনো শিক্ষার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় ভায়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার পর থেকে আইডিয়াল কলেজের সামনে উত্তেজনা
\হদেখা দেয়। কেউ কেউ তখন বলছিলেন, ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আইডিয়াল কলেজে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন।
এরপর দুপুর ২টার দিকে আইডিয়াল কলেজ থেকে ছাত্ররা বের হয়ে মিরপুর সড়কে যান। পাশাপাশি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পেরিয়ে সিটি কলেজের মোড়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষই পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে, অনেকের হতে লাঠিও দেখা যায়।
একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আইডিয়াল কলেজের সামনে গিয়ে কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে।
নিউমার্কেট জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারেক লতিফ বিকাল ৪টায় বলেন, 'ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করছে, তাদের কয়েকজন সহপাঠী 'নিখোঁজ' আছে। যাদের নিখোঁজ বলা হচ্ছে, তাদের বা তাদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'