মুগ্ধর ভাইকে কাছে পেয়ে আপস্নুত সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে কাছে পেয়ে আবেগাপস্নুত সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবিটি সোমবার তোলা -সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে কাছে পেয়ে আবেগাপস্নুত হয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সোমবার বিকালে সচিবালয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের এক মাসপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন উপদেষ্টা। বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টার পেছন থেকে এসে একটি ছেলে বলেন, 'আমি মুগ্ধ। উপদেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার ছেড়ে উঠে তাকে জড়িয়ে ধরেন। আপস্নুত উপদেষ্টার গলা থেকে আর কথা বেরোয় না।' খানিক পর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে তিনি স্নিগ্ধর কাছে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। ধরা গলায় কথা বলতে বলতে তার মাথায়, গালে হাত বুলিয়ে দেন। এরপর উপদেষ্টা স্নিগ্ধকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর দেন। যে কোনো সমস্যায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। স্নিগ্ধ যে কাজের জন্য এসেছে তা দ্রম্নত করে দিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারী বাচ্চাদের স্বপ্ন পূরণে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে কথাটি কিন্তু আমরা কেউ এক মুহূর্তের জন্য ভুলি না। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন- স্নিগ্ধ যখন এখানে ঢুকল, আমাদের মুগ্ধর যমজ ভাই, ?আমি তো আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, আমি জানি অনেকেই হয়তো পারেননি। আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে কী চরম আত্মত্যাগ এই বাচ্চাগুলো করেছে। ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মুগ্ধ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তিনি আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীদের পানি পান করাচ্ছিলেন। আন্দোলনের মধ্যে 'পানি লাগবে, পানি'- মুগ্ধর এ কথা অনেকের হৃদয়ে গেঁথে আছে।