সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে গত ২০২১ সালে ২৬ মার্চ (শুক্রবার) জুমা নামাজের পর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ মাওলানা কাজী নজরুল ইসলাম নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তিন বছর পরে এসে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ৪১ জনের নাম উলেস্নখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এর মধ্যে মামলার সাক্ষী উলেস্নখ করা দুইজন মামলার বিষয়ে তারা অবগত নন বলে জানিয়েছেন। সেই মামলার আসামি তালিকায় দৈনিক মানবজমিনের হাটহাজারী উপজেলার প্রতিনিধি আবু শাহেদকেও রাখা হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। শুনানি শেষে বিচারক শাহরিয়ার ইকবাল আবেদনটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে হাটহাজারী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী তাওহীদুল ইসলাম।
মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ সালাম, হেফাজতের প্রয়াত আমির মাওলানা আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, চট্টগ্রামের তৎকালীন এসপি এসএম রশিদুল হক, ওসি রফিকুল ইসলামসহ ৪১ জনের নামে ও অজ্ঞাত পরিচয়ের অন্তত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার হাটহাজারী প্রতিনিধি মো. আবু শাহেদকে ৩৫ নম্বরে রাখা হয়।
জানা যায়, ঘটনার পর হাটহাজারী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন সাংবাদিক মো. আবু শাহেদ। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থেকেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাটহাজারী প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো নিন্দা জানিয়েছেন। অবিলম্বে আবু শাহেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, 'মামলাগুলো কারা করতেছে, এসব মামলায় কাদের নাম দেওয়া হচ্ছে আমার কিছুই জানা নেই। মামলার ব্যাপারে আমাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না। তবে এই মামলায় মানবজমিন পত্রিকার হাটহাজারী প্রতিনিধি আবু শাহেদের নাম আসায় আমরা খুব দুঃখ প্রকাশ করছি। হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে আমি এই বিষয়ে আলাপ করব।'