ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুমিলস্নার আলেখারচর এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হামলা ও গুলিতে আহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, তার স্ত্রী হনুফা আক্তার, সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাসহ ১৩৩ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কুমিলস্না শহরতলির আলেখারচর এলাকার আবদুল করিমের ছেলে কাজী মো. সোহেল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিলস্না কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার কুমিলস্না কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী নেতা ও কুমিলস্না মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উলস্নাহ খোকন, বুড়িচংয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, ব্রাহ্মণপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব অপি, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাভেল, সিটি কাউন্সিলর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিন শতাধিক আসামি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছেনি নিয়ে বাদী ও অন্যান্য কোটা সংস্কার
আন্দোলনকারীদের ওপর ১নং ও ২নং আসামির নির্দেশে ৩নং আসামির নেতৃত্বে হামলা করে। তারা বৃষ্টির মতো ককটেল ও গুলি ছোড়ে। আসামিরা ছাত্র-জনতাকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে যায়। আসামিরা তাদের লাইসেন্স করা পিস্তল ও শটগান নিয়ে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের ওপর গুলি করে। বাদীর মাথায় গুলি লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন আসামিরা তাকে বুকে ও মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন।