৩০ হাজার টন সার ও ১০ হাজার টন ডাল কিনবে সরকার

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দশ হাজার টন মসুর ডাল ও ৬০ হাজার টন ইউরিয়া কিনছে সরকার। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খোলা বাজারে এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। ক্রয় কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সাহারা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনা হবে। প্রতিকেজি ৯৮ টাকা ২০ পয়সা হিসেবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ৯৮ কোটি ২০ হাজার টাকা। এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগেস্নাব ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন এবং বাংলাদেশের কাফকোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কাতারের ক্ষেত্রে প্রতি টন ৩৪৩ দশমিক ১৭ ডলার হিসেবে মোট খরচ হচ্ছে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। আর কাফকোর প্রতি টন সারের দাম ৩৩০ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে মোট খরচ হচ্ছে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর কাতারের ফার্টিগেস্নাবের কাছ থেকে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। একই বৈঠকে খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টারসেল অ্যাগ্রিমেন্টভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়টি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বাণিজ্য ও অর্থ-উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক শেষে বলেন, 'কম প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করা হবে না। সামনে আমন মৌসুমে যাতে কৃষকরা কোনোভাবেই সারের সংকটে না পড়ে সেটা দেখছে সরকার। সার, জ্বালানি ও খাদ্যপণ্য আমদানি করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'দেশে সারের চাহিদা বছরে ৬৮ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন হয় মাত্র ১৮ লাখ মেট্রিক টন। বাকি সার আমদানি করতে হয় সরকারকে। তাই প্রতি সপ্তাহে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' উপদেষ্টা জানান, ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয়ভাবে ৩০ লাখ মেট্রিক টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এ ছাড়া স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। তিনি বলেন, 'স্পট মার্কেট থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দ্রম্নত এলএনজি পাওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে না গিয়ে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে।'