মানহানিসংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) মঙ্গলবার এ রায় দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়াকে হয়রানির উদ্দেশ্যে কয়েক বছর আগে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পৃথক পাঁচটি নালিশি মামলা করেন জনৈক এ বি সিদ্দিক ও একজন সাংবাদিক। মানহানিসংক্রান্ত ওই পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসের বিষয় জানতে চাইলে বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বলেন, কয়েক বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য জনৈক এ বি সিদ্দিক পৃথক চারটি মানহানির মামলা করেছিলেন। একইভাবে গাজী জহিরুল ইসলাম নামে একজন সাংবাদিকও খালেদা জিয়াকে আসামি করে মানহানির মামলা করেছিলেন। এসব মামলা করে দীর্ঘদিন নির্ধারিত শুনানির দিনে আদালতে আসেন না জনৈক এ বি সিদ্দিক ও সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। নালিশি মামলার বাদী যদি পরপর কয়েক ধার্য তারিখে আদালতে না
উপস্থিত হন, তখন আইন অনুযায়ী আদালত সেই মামলা খারিজ করতে পারেন।
আইন অনুযায়ী এসব হয়রানিমূলক মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে পৃথক পৃথক আবেদন করা হয়। আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ আদালতের রায়ে পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক।
মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীকে মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার আদালতে আরেকটি নালিশি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ে কটূক্তি করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন এ বি সিদ্দিক।