ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের পস্নট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
সোমবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ জন্য বিচারক পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটি করেন।
অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায়। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, এস কে সিনহা ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের পস্নটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে স্থানান্তর করেন। এরপর রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর পস্নটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই পস্নটে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ওই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া পস্নটের মূল্য হিসাবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।