আওয়ামী লীগের জোট শরিক জেপির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) রবিউল ইসলাম ভুঁইয়া জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় পাঁচটি মামলার আসামির তালিকায় নাম রয়েছে মঞ্জুর।
নব্বইয়ের দশকে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী মঞ্জু ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐকমত্যের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। পরে তিনি দল ভেঙে আলাদা সংগঠন শুরু করেন, যা এখন জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) হিসেবে পরিচিত।
২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে মঞ্জুকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দপ্তর পাল্টে মঞ্জুকে তিনি দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য হলেও সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হেরে যান মঞ্জু। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমিমা হোসেন ইত্তেফাকের সম্পাদক। এই দম্পতির মেয়ে তারিন হোসেন ইত্তেফাকের বর্তমান প্রকাশক।
৫ দিনের রিমান্ডে হাজী সেলিম : এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুলস্নাহ হত্যা মামলায়
সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আক্তারুজ্জামান সোমবার রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এদিন হাজী সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আক্কাস মিয়া। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক। এর আগে রোববার মধ্যরাতে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিমুলের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার কমিশন থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিমুলের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক বিদেশে অর্থপাচার করে কানাডায় বাড়ি কেনার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দুদক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।