কুইক রেন্টাল-সংক্রান্ত বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি এবং ক্রয়-সংক্রান্ত ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।
আইনটি সংবিধানের ৭, ২১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ১৪৩ ও ১৪৫ এর লঙ্ঘন বলে রিটে উলেস্নখ করা হয়েছে, 'বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর 'আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ' সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো
আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।'
৬(২) ধারার বলা হয়েছে, 'উপ-ধারা (১)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যে কোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫-এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিতসংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ ও দর কষাকষির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য মনোনীত করিয়া ধারা ৭-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।'
রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদু্যৎ, জালানি ও খনিজসম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে।
আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।