এবার প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপেস্নক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট ও মৎস্যভবন সংলগ্ন সড়কে সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এই নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার থেকে
কার্যকর হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স'র ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকে নানা দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের হসড়কে অবস্থান ও বিক্ষোভ এক সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদল মানুষ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা, শাহবাগ মোড়, প্রেস ক্লাব এলাকা ও সচিবালয় ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকে নিয়মিত। এর মধ্যে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ২৫ আগস্ট একদল আনসার সদস্য সচিবালয় ঘেরাও করে। দিনভর কয়েকজন উপদেষ্টা ও সচিবালয়ের কর্মীদের ঘেরাও করে রাখার পর রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
সেই রাতেই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আশপাশে সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ হওয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতিও পদত্যাগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভের মুখে।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে। সেদিনই দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি।
একই দিন পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।