অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমরা দেশের দুর্নীতি ধরার জন্য আসিনি। কোন খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তার ব্যাপ্তিটা নির্ণয় করার জন্য আমাদের কমিটি কাজ করবে।'
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সম্মেলন কক্ষে বৈঠক করে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, 'এটা দুর্নীতি ধরার কমিটি না। দুর্নীতি কেন হয়েছে সেটা বলে দেব। এছাড়া আমাদের এই কমিটি আর্থিক খাতের সংস্কারে সরকারের উদ্যোগকে সহযোগিতা করবে। ব্যাংক বা আর্থিক খাতের মূল্যায়ন করা হবে না। সেটার জন্য সরকার আলাদা ব্যাংকিং কমিশন করবে। তবে কমিটির কার্যক্রমে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান আসলে তার নানান দিক বিবেচনা করা হবে। মূলত বিদায়ী সরকার যা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন এই কমিটি করবে না।'
তিনি বলেন, 'বিদায়ী সরকার অনেক নীতিমালা তৈরি করেছে। সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কেমন হবে, সেটার ইঙ্গিত ও এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা মসৃণ হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে আগামীতে সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির এই সম্মানীয়
ফেলো বলেন, 'সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পের ব্যয় বা যৌক্তিকতা যাচাই করা হবে না। তবে মেগা প্রকল্পের নানান দিক খতিয়ে দেখা হবে।'
এর আগে গতকাল বুধবার দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ কমিটির প্রধান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন বিভাগের মহাপরিচালক মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিটির অপরাপর সদস্যদের মনোনীত করবেন।