গাজী টায়ারে আগুন
অগ্নিদগ্ধ লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও এর ভেতরকার অবকাঠামো এখনো ভয়ংকরভাবে উত্তপ্ত হয়ে আছে। আগুনের লেলিহান শিখায় নির্মাণশক্তি বিনষ্ট হওয়ায় গোটা ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে তা পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নির্মাণ প্রকৌশলীরা। এ পরিস্থিতিতে কারখানার ভেতরকার অবস্থা পর্যবেক্ষণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঝুঁকি নিতে চান না।
এদিকে অগ্নিকান্ডে নিখোঁজদের করুণ পরিণতি জানার অপেক্ষায় সোমবার রাত থেকে কারখানার চারপাশ ঘুরেচ্ছেন শত শত স্বজন। অগ্নিগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ছেলে-মেয়ে বা স্বামীর লাশ ফিরে না পেলেও এক টুকরো হাড় হলেও খুঁজে পেতে চান অনেকেই। তবে কবে নাগাদ এ কারখানার ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হবে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এখুনি তা জানাতে পারছেন না। কারখানার ভেতরে কোনো মৃতদেহ থাকলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভবন থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আগুনে ছয়তলা ভবনটি ভয়ংকরভাবে পুড়ে যাওয়ায় ইট, রড ও সিমেন্টের আস্তর খসে পড়ছে। ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৃতীয় দিনের মতো নিখোঁজদের সন্ধানে কারখানার সামনে অবস্থান করছেন তাদের স্বজনরা। দ্রম্নত কারখানার ভেতরে তলস্নাশি করার দাবি করছেন তারা। স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় দুইশ' মানুষ এই অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ হয়েছে। অথচ এ নিয়ে যেন কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই।
তবে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, গোটা ভবনটিতে এখনও অগ্নিকুন্ডের উত্তাপ রয়েছে। এছাড়া ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালানোর কোনো পরিস্থিতি নেই। কারণ উদ্ধার অভিযানে যে ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়, তা সেখানে ঢোকানো হলে পুরো ভবনটিই ধসে পড়তে পারে। ম্যানুয়ালি উদ্ধার করতে গেলে দমকল কর্মীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এখুনি এ ব্যাপারে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।
'আমার ভাইরে খুঁইজা দেন গো, আমার ভাইয়ের লাশটা আইনা দেন; আমার ভাইরে তো জিন্দা পামু না, লাশটা তো পামু, কিন্তু লাশটা তো কেউ খুঁইজা দিতাছে না। আলস্নার কাছে কী দোষ করছি গো, আমার ভাইডারে নিলো গা।
ভাতিজারে খুঁজতে আইয়্যা আমার সোনার ভাইডা নিজেই ফাঁইস্যা গ্যাছে।' মঙ্গলবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এসব বলে বিলাপ করছিলেন রফিকুল ইসলাম রতন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন লাগার পর ছেলেকে খুঁজতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন তার ভাই আব্দুল মোতালেব। ভাতিজা ইয়াসিন গাজী টায়ারস কারখানার টিউব সেকশনের কর্মী ছিলেন। রোববার রাতে কারখানাটিতে লুটপাটের পর দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনার পর মোতালেব তার কিশোর ছেলেকে খুঁজতে এসেছিলেন। পরে ইয়াসিন বাড়ি ফিরলেও তার বাবার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান রতন। রোববার রাত থেকেই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি হাতে কারখানার সামনে অপেক্ষায় আছেন তিনি।
ছেলেসহ নিখোঁজ পাঁচ স্বজনের খোঁজে আহাজারি করছিলেন রহিমা বেগম। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে সুজন সিকদার এই কারখানায় এসেছিল। তার সঙ্গে আমার ভাশুরের আরও চার ছেলে এসেছিল। তাদের কেউ বাড়ি ফিরে যায়নি। তারা লুটপাটের ঘটনা দেখতে এসেছিল। তাদের কেউ এখানে কাজ করত না।'
সুজন সিকদারের বোন রেহেনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমার ভাইরে যাইতে না করছিলাম। কেন গেলোরে ভাই!' ওরে তো আর জিন্দা পামু না, তয় লাশটা তো আমাগো দিবো।'
স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অগ্নিকান্ডের দিন যারা ওই ভবনে গিয়েছিল তারা সবাই কারখানার মালামাল লুটপাট করতে গিয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিলকিস বেগম বলেন, 'গাজী কারখানা বন্ধ ছিল। তাই কারখানায় কোনো শ্রমিক ছিল না। যারা সেদিন কারখানার ভবনে প্রবেশ করে তারা সবাই লুটপাট করার জন্য গিয়েছিল।'
নিখোঁজদের মধ্যে আছেন ৩৫ বছর বয়সি আলী নূর। গাউসিয়া এলাকায় তার একটি মাছের খামার রয়েছে। ছেলের ছবি হাতে কারখানার সামনে রাস্তায় বসে কাঁদছিলেন তার বৃদ্ধা মা লিলি বেগম।
লুটপাট চলাকালীন আলী নূর কারখানাটিতে এসেছিলেন জানিয়ে এই বৃদ্ধা বলেন, ছেলের সঙ্গে তিনিও কারখানায় এসেছিলেন। তিনি যখন ভবনটির নিচে ছিলেন, আলী ছিলেন ভবনের উপরের দিকে। আগুনের ঘটনার পর আর বের হতে পারেননি আলী।
'আমি দেহি চারদিকে খালি ধুয়া আর ধুয়া (ধোঁয়া)। পোলারে ডাকি, খুঁইজা পাই না। পোলায় আর বাইর হইতে পারে নাই। ও আলী নুর রে তোর মাছ কেডায় পাহারা দেয়। তুই কিয়ের লাইগ্যা এইহানে আইছিলি। বাবারে তুই কেন এইহানে আইছোছ। তোর মার বুকটা তো খালি রে আলী নূর- এভাবেই বিলাপ করছিলেন লিলি। দমকল কর্মীদের কাছে বারবার আকুতি জানিয়ে তিনি বলছিলেন, 'বাবাডার লাশটা খালি আইন্না দেও'।
সরেজমিন গিয়ে কারখানার সামনে কথা হয় গঙ্গানগর এলাকার ফরিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার স্বামী ইমান আলী গত ৫ আগস্ট কর্ণগোপ গাজী ট্যাংকের কারখানায় বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে গাজী পাম্প ও গাজী পাইপ নিয়ে আসে। গত ২৫ তারিখও বন্ধুদের সঙ্গে রূপসী কারখানাতে টায়ার আনতে গিয়েছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে কল দিয়া জানায়, ভবনের ছয় তলায় আটকা পড়েছে। এর পর তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি। সে এখন নিখোঁজ রয়েছে।
তারাবো এলাকার নিখোঁজ মিলস্নাতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমার স্বামী প্রতিবেশীদের সঙ্গে গাজী টায়ারস কারখানায় যায়। আমি তার কোনো খোঁজ পাইতাছি না। আমার এক ছেলে ও এক মেয়েকে অহন কে দেখবে। কীভাবে চলবো আমার সংসার।'
এদিকে মুড়াপাড়া দড়িকান্দি গ্রামের ১৪ জন এখনো নিখোঁজ। তাদের মধ্যে একজন অটোরিকশা চালক মামুন মিয়া (৪০)। তার বড় মেয়ে মোহনা আক্তার স্থানীয় কর্ডোভা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোট মেয়ে রাইসা আক্তার দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মামুন মিয়া। সে নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের আয়-রোজগারের কেউ নেই। কেমনে চলবে তাদের সংসার। কে দায়িত্ব নেবে তার সন্তানদের। কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছিলেন মামুন মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার। এ গ্রামের ইসরাফিল ও তার ছেলে ফটিক মিয়া দু'জনেই জামদানি কারখানার কারিগর। তারা অন্যদের মতো পিতা-পুত্র নিখোঁজ রয়েছেন।
বরপা গ্রামের নিখোঁজ সোহাগের পিতা আব্দুর রহমান জানান, তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। দুই ভাই বোনের মধ্যে সোহাগ ছোট। তার বয়স ২০। কুমিলস্না জেলার দাউদকান্দি থেকে তিনি বরপা এসে ভাড়ায় থাকেন। গত ২৪ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে সোহাগ বাড়ি থেকে বের হয়। এর পরে তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। এমন নিখোঁজের ঘটনায় রূপগঞ্জের বরপা গ্রামের মানুষ হতবাক ও বিস্মিত। এমন ঘটনা আগে কখনো এ অঞ্চলের মানুষ দেখেনি।
মৈকুলী গ্রামের রাজুর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জনকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা। ৪৫ বছর বয়সের রাজু ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তার নিখোঁজের ঘটনায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যৎ।
ছাতিয়ান গ্রামের ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- হক মিয়ার ছেলে সুমন, চাঁন মিয়ার ছেলে ফজলুল হক, আব্দুল ওহাবের ছেলে আব্দুর রশিদ, বরকতউলস্নার ছেলে শফিকুল ইসলাম, তমিউদ্দিনের ছেলে রুবেল, আব্দুল গণির ছেলে স্বপন, আব্দুল মোতালিবের ছেলে অহিদ, মোন্তাজউদ্দিনর ছেলে নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদের ছেলে কামাল হোসেন, আলী আহম্মেদের ছেলে হাসান, আলম হোসেনের ছেলে জহির উদ্দিন, সাহেব আলীর ছেলে নজরুল মিয়া, সিরাজ মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া। তাদের বসয় ২০ থেকে ৩৫ বছর। সবাই গত রোববার কয়েকটি অটোরিকশা ভাড়া করে গাজী টায়ারস কারখানায় যায়। তারা কেউ ফিরে আসেনি। তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। নিখোঁজ রশিদের স্ত্রী ছালেমা খাতুন বুক চাপড়ে কাঁদছেন। তার স্বামী রশিদকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার পরিবার। এমন ঘটনায় গ্রামের মানুষ নির্বাক।
গাজী টায়ার কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'গত ৫ আগস্ট হামলার পর থেকে কারখানাটি বন্ধ ছিল। শুধু নিরাপত্তাপ্রহরী ছাড়া কারখানাতে কেউই ছিলেন না। রোববার রাতে লুটপাটের পর কারখানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, 'দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোর ৫টার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে ভবনের ভেতরে এখনো হিট আছে। সামান্য পরিমাণে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে।' তিনি আরও বলেন, 'ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ভেতরে ঢুকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।'
এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানকে প্রধান করে ৮ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
তিনি বলেন, 'তদন্ত কমিটিতে গণপূর্ত বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদু্যৎ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। আমরা শুনেছি প্রচুর লোক এখানে এসে লুটপাট করেছে। আগুন দেয়ার ঘটনায় কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করা হবে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা দেখব কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ভেতরে কি পরিমাণ লোক ছিল। তবে কেউ আটকা পড়েছে কিনা, মারা গেছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, 'নিখোঁজের কোনো সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। আমরা বাইরে দেখেছি বেশ কিছু লোক বাইরে অপেক্ষা করছে। তাদের আত্মীয়, পরিবারের মানুষজন নিখোঁজ রয়েছে বলে যেটি তারা বলছে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। অগ্নিকান্ডের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে আমরা তদন্ত করে দেখব।'
অন্যদিকে গাজী টায়ারসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কারখানায় লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় জিডি করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাজী গ্রম্নপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান। দুপুরে কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি একথা জানান।
শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের গত মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই মাসের বেতনসহ সব পাওনা আগামী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে আমরা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি।'
হামলা, লুটপাট ও আগুন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই গ্রামের আশপাশের লোকজন যারা রয়েছে তারা এই কাজগুলো করেছে। শত শত মানুষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একযোগে এসে এখানে লুটপাট করেছে এবং আগুন দিয়ে কারখানা জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। তাদের গাড়ি রাস্তায় আটকে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীকেও জানিয়েছি। কিন্তু দেশের চলমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট আমরা পাইনি। তবে লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আমরা জিডি করেছি। আমাদের আইনি একটা টিম আছে তারা বিষয়গুলো দেখভাল করছে'।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাজী গ্রম্নপের নির্বাহী পরিচালক বলেন, 'ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলতে পারি প্রায় দশ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের প্রতিষ্ঠান একেবারে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।'