কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় শনিবার রাত ১০টায় কর্ণফুলী জল বিদু্যৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাপ ১০৭.৬৩ এমএসএল (মিন সি লেভেল)। যেখানে সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন খান জানান, কাপ্তাই জল বিদু্যৎকেন্দ্রে ১৬টি জলকপাটে ৬ ইঞ্চি করে রাত ১০টার দিকে কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া হবে। গত কয়েক দিনের ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা বা বিপৎসীমার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে।
কাপ্তাই পানি বিদু্যৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১০৮
\হএমএসএল পর্যন্ত বিপৎসীমার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং এই পরিমাপে পৌঁছালে ছাড়া হতে পারে কাপ্তাই বাঁধের পানি।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় দেশের একমাত্র পানি বিদু্যৎকেন্দ্রের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রে দৈনিক ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদু্যৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর ফলে হ্রদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে হ্রদের নিম্নাঞ্চলের অনেকের ঘরবাড়ি পস্নাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দ্রম্নত সময়ে যদি কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যবস্থা করা না হয়, তবে কাপ্তাই হ্রদসংলগ্ন অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।