বন্যা :দেশের ১০ জেলায় কোথায় কেমন ক্ষতি
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
উজানের টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দেশের পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০ পরিবার। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব জেলার মোট ৬৫ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫২ জন মানুষ।
ফেনী : বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। বন্যার পানিতে ডুবে একজনের মৃতু্য হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৭৮টি। আশ্রয়কেন্দ্রে লোকসংখ্যা ২০ হাজার। মেডিকেল টিম ৭৬টি। নগদ ৬২ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ২ হাজার ৯শ' টন ও শুকনো খাবার ৬ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুমিলস্না : কুমিলস্নার ১২টি উপজেলার ১২৪টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১টি। বন্যাকবলিত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ জন। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৭টি। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০২ জন এবং গবাদিপশু ৬৬৭টি। নগদ ৪৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ২ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলার আটটি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৯ লাখ ৮০ হাজার জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৩৮৮টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোকসংখ্যা ৩৬ হাজার ১১৫ জন ও আশ্রিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭১৪টি। মেডিকেল টিম চালু ৮৮টি। নগদ ৪৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ২ হাজার ৬০০ টন ও শুকনো খাবার ১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম : বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার ৯৩টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯১৬টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৮৫০ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৮৪টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ জন এবং গবাদিপশু ২১৬টি। মেডিকেল টিম চালু রয়েছে ১১১টি। নগদ ৩৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭১১টি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৪২৫ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৪৭টি। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩৮ জন এবং আশ্রিত গবাদিপশু ৩২৪টি। মেডিকেল টিম চালু আছে ৩৫টি। নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ২ হাজার ৩৫০ টন ও শুকনো খাবার ১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি : বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার আটটি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫২২টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৭১৮ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৯৯টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৯ হাজার ১৩ জন এবং আশ্রিত গবাদিপশুর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৪টি। মেডিকেল টিম চালু ১৮টি। ত্রাণ নগদ ১০ লাখ টাকা এবং (চাল) ৫০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ : বন্যায় হবিগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজার ২৪০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৬৮ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১১৬টি। আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন ১৪০ জন। নগদ ৩৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ২ হাজার ৪০০ টন ও শুকনো খাবার ৩ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দুটি উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ১৯০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪ হাজার ৯৯১ জন। মৃত লোকসংখ্যা একজন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১১টি। আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন ৪৮ জন। মেডিকেল টিম চালু আছে ছয়টি। নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট : বন্যায় সিলেট জেলার তিনটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৬৫ হাজার জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৬৫১টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৮ জন। নগদ ৪৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল ২ হাজার ৬০০ টন ও শুকনো খাবার ৪ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্ণীপুর : বন্যায় লক্ষ্ণীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি ১ লাখ ২০ হাজার ৯০০ পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৬ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন ৪ হাজার ৯০৫ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ত্রাণ (চাল) ৫০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।