সাবেক বিদু্যৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস না পেলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন তার ভয়াবহ দুর্নীতির নানা তথ্য ফাঁস হতে শুরু করেছে। তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন এই প্রতিমন্ত্রী কীভাবে বিদু্যৎ খাত থেকে অর্থ লোপাট করতে নানা কারসাজি করেছেন, তার মালিকানাধীন আবাসন 'প্রিয় প্রাঙ্গণ' প্রকল্পে কীভাবে সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া হয়েছে, তার এ প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে কোন অপকৌশলে সরকারি আবাসন 'ঝিলমিল' প্রকল্পের কার্যক্রম বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে- তার ফিরিস্তি এখন একের পর এক ফাঁস হচ্ছে। এছাড়া তার বিদেশে অর্থ পাচার এবং সে টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি কেনার তথ্যও বেরিয়ে এসেছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজ নসরুল হামিদ বিপু গণপূর্ত ও গৃহসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রিহ্যাব সভাপতি থাকাকালীন ঝিলমিলের দ্বিতীয় ফেজের শত শত একর জমি দখল করে নিজ আবাসন প্রকল্প 'প্রিয় প্রাঙ্গণ' গড়ে তোলেন। এ কারণে কালক্ষেপণের জন্য কৌশলে ঝিলমিল প্রকল্পের নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে আটকে দেন। ফলে ঝিলমিল প্রকল্পের প্রথম ফেজের দরখাস্ত সময়মতো আহবান করা যায়নি। একইসঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজ নিয়েও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
তৎকালীন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নুরুল হুদা ওই সময় এ বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন। তিনি জানান, দরখাস্ত আহ্বানের জন্য একটি নীতিমালা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে রাজউক। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তা পাস করা হয়নি। এ ব্যাপারে গণপূর্ত ও গৃহসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নসরুল হামিদ বিপুর কারসাজির কথাও তিনি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেন।
রাজউকের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, কেবলমাত্র ঝিলমিল প্রকল্পের প্রথম ফেজই নয়, দ্বিতীয় ফেজের প্রকল্প প্রস্তাবনা ফাইলও মন্ত্রণালয়ে আটকে পড়ে সাবেক বিদু্যৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ইশারায়। কিন্তু ওই সময় এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।
স্থানীয়রা জানান, ঝিলমিল প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজের প্রস্তাবিত জমিতেই গড়ে উঠেছে প্রিয় প্রিঙ্গাণ। এ প্রকল্পের জন্য রাজউক ১১০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিল। এ প্রকল্পে সাড়ে তিন হাজার পস্নট ও ৩০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা রাজউকের।
যদিও ওই সময় দ্বিতীয় প্রকল্পের জমিতে প্রিয়-প্রাঙ্গণ আবাসন প্রকল্প গড়ে ওঠা সম্পর্কে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন নসরুল হামিদ বিপুর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।
তবে রাজউকের একাধিক সদস্য এ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা জানিয়েছিলেন, বেসরকারি আবাসন কোম্পানির জমি রাজউক অধিগ্রহণ করলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বিপদে পড়বে। কারণ যারা প্রিয় প্রিঙ্গাণের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কি হবে তা ভাবার দায়িত্ব যে সংসদীয় কমিটির, তারাই দখল বাণিজ্যে নেমেছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা ওই সময় নসরুল হামিদ বিপুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নানা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঝিলমিলের দ্বিতীয় ফেজের প্রস্তাবনা যে জমিকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে, প্রিয় প্রিয়াঙ্গণে সে সব দাগের জমি নেওয়া হয়নি। এছাড়া রাজউক এ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেনি। সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলে একটি পক্ষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।
যদিও রাজউকের সূত্রগুলো বলছে, নসরুল হামিদ যে ঝিলমিল প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজের প্রস্তাবনার জমিতে ঝিলমিল প্রকল্প গড়ে তুলেছেন, তা কর্তৃপক্ষের তদন্তেও উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে অদৃশ্য কারণে তা বারবার ধামাচাপা পড়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নিজের আবাসন ব্যবসা রাতারাতি ফুলে ফেপে ওঠায় এ ব্যবসার পরিধি আরও বাড়ান 'দুর্নীতিবাজ' নসরুল হামিদ। তিনি মেয়ে আলিফা হামিদের নামে গড়ে তোলেন আলিফিয়া রিভার ভিউ প্রকল্প। এটিতেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি।
অন্যদিকে নসরুল হামিদ শুধু আবাসন খাত থেকেই শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেননি। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে বিদু্যৎ খাতকে বড় উৎস করে গড়ে তুলেছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে বিদু্যৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কাগজে-কলমে সরাসরি দায়িত্বে থাকলেও সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন নসরুল হামিদ বিপু। টানা ১০ বছর ধরে ছিলেন এই দায়িত্বে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন মহাপ্রকল্প ও উন্নয়ন কাজের হরিলুটের যেসব অভিযোগ ওঠে তার নেপথ্যে নসরুল হামিদের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।
এছাড়া সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদু্যৎ খাতের আরেকটি হরিলুটের উৎস ছিল কুইক রেন্টাল পাওয়ার পস্ন্যান্ট বা ভাড়ার বিদু্যৎ কেন্দ্র। টানা ১৫ বছর ৮ মাসে এ খাতে লুটপাটের মহোৎসব চলে। আর এ লুটপাটের অন্যতম হাতিয়ার ছিল দায়মুক্তি আইন। এই আইন অনুযায়ী বিনা টেন্ডারে প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি পাওয়ার পস্ন্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এসব উচ্চ মূল্যের বিদু্যৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে চুক্তি অনুযায়ী বছরের পর বছর ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে হাজারও কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৬ অর্থবছরে পরিশোধ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর সিংহভাগই গেছে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও জ্বালানি উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পকেটে। বিদু্যৎ খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, নসরুল হামিদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নামা দুদক এ বিষয়টি খতিয়ে দেখলে সহজেই 'থলের বিড়াল' বেরিয়ে আসবে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি কোম্পানি খুলে ওই কোম্পানির মাধ্যমে নসরুল হামিদ বিপু হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও তদন্ত করছে দুদক। জানা গেছে, ওই কোম্পানি প্রতিষ্ঠাকালে বিপু তার নিজের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাসভবনের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। ৫ বেডরুমের ওই বাসার বাজারমূল্য ৩৬ লাখ ১৭ হাজার ৪১৫ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য ৪২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। শুধু ফ্লোরিডায় বাসা কিনেই থামেননি নসরুল হামিদ। সেখানে শরীফ হায়দার নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে স্ত্রী সীমা হামিদকে নিয়ে 'পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ট্রেড করপোরেশনের লাইসেন্স নেন। এই করপোরেশনের আওতায় মোবিল গ্যাস স্টেশনসহ দেড় ডজনের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ফ্লোরিডায় অবস্থিত ওই গ্যাস স্টেশনটি কেনা হয় কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডামি হিসেবে শরীফ হায়দারকে দেখানো হলেও আসল মালিক নসরুল হামিদ বিপু। আর শরীফ হায়দারের মাধ্যমেই শত শত কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন তিনি।
এর আগে নসরুল হামিদ বিপু কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দেশের বৃহত্তম এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পেতেও যে জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন সে সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্যও এখন ফাঁস হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জাপানের মারুবেনি কর্পোরেশন, ডাচ-সুইস জ্বালানি কোম্পানি ভিটল এবং পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানির যৌথ ব্যবসায়িক জোট বা কনসোর্টিয়াম কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দেশের বৃহত্তম এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পেতে যাচ্ছে- ২০২১ সালের প্রথমভাবে এ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। কেননা সেখানে বলা হয়, বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে ৩০৫ মিলিয়ন ডলার বা আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালটি নির্মাণ করবে এই কনসোর্টিয়াম। কিন্তু মাত্র ১০০ ডলার পরিশোধিত মূলধনের একটি কোম্পানি পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল কীভাবে ৩০৫ মিলিয়ন ডলারের কাজ পাওয়া একটি কনসোর্টিয়ামের অংশ হতে পারে- তা নিয়ে বিশেষজ্ঞমহল প্রশ্ন তোলে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় নসরুল হামিদ বিপু নিজের দাপট খাটিয়ে গণমাধ্যম থেকে প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু এর প্রিন্ট ও ই-পেপার সংস্করণে-এর কপি থেকে যায়।
এ ব্যাপারে নসরুল হামিদ বিপুর হস্তক্ষেপের বিষয়টি ফাঁস হলে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক অনেকে পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনালের পেছনে আসলে কে আছে তা খুঁজতে শুরু করেন। এর পরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
জানা যায়, পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি হিসেবে সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশে নিবন্ধিত। কোম্পানিটির নিবন্ধন সংক্রান্ত নথিপত্র এবং টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কিছু অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণ মূলত নসরুল হামিদ বিপুর আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের হাতে। প্রতিমন্ত্রীর পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রম্নপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরাই পাওয়ারকোর হর্তাকর্তা।
সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের ব্যবসা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানে দাখিলকৃত নথিপত্র অনুযায়ী, পাওয়ারকোর প্রধান শেয়ারধারী হলেন কামরুজ্জামান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। তার পরিচয় সংক্রান্ত নথিপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কামরুজ্জামান চৌধুরী হলেন নসরুল হামিদ বিপুর আপন মামা। কামরুজ্জামান চৌধুরী নিজেও দীর্ঘদিন ধরে হামিদ গ্রম্নপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা হামিদ গ্রম্নপের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন।
এদিকে সিঙ্গাপুরে দাখিলকৃত নথিপত্রের তথ্য বলছে, পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনালের একজন বিকল্প পরিচালক হলেন মুরাদ হাসান। পাশাপাশি, তিনি কোম্পানিটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা। সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী, পাওয়ারকোর প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিপিসির সঙ্গে সরাসরি মাতারবাড়ী এলপিজি টার্মিনাল প্রকল্পের দরকষাকষিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এই মুরাদ হাসানই আবার 'ডেলকো বিজনেস অ্যাসোসিয়েট' নামে হামিদ গ্রম্নপের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও ছিলেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় নসরুল হামিদ নির্বাচনী হলফনামায় জানান, তিনি নিজেই ডেলকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে সময় তিনি কোম্পানিটির উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারেরও মালিক ছিলেন। বর্তমানে ডেলকোর মালিকানা তার ছেলে জারিফ হামিদ ও ছোটভাই এন্থেখাবুল হামিদের হাতে।
বাংলাদেশের ব্যবসা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথিপত্র অনুযায়ী, পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল বারিধারার ৩২, প্রগতি সরণি- এই ঠিকানাতেই প্রথম নিবন্ধিত হয়েছিল। এই ঠিকানায় কেইমরিচ, সুনন ও ইউরো নামে তিনটি অফিস ফার্নিচার ব্র্যান্ডের শো-রুম রয়েছে। বাংলাদেশে এই বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর পরিবেশক হলো ডেলকো। ডেলকোর ওয়েবসাইটেও তাদের শো-রুমের ঠিকানা: ৩২, প্রগতি সরণি, বারিধারা। আবার সুনন বাংলাদেশ বা ংঁহড়হ-নফ.পড়স ডোমেইনটির রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী, এই ঠিকানাতেই এন্থেখাবুল হামিদের নামে নিবন্ধিত হয়েছে ডোমেইনটি। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, ডেলকোর শো-রুমের ঠিকানাতেই নিবন্ধিত হয়েছিল পাওয়ারকো।
দুদকের পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, নসরুল হামিদ বিপুর দুর্নীতির নানা তথ্য তাদের হাতে এসেছে। এসব বিষয় তারা গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যে বিদু্যৎ খাতে লুটপাটের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা, প্রিয় প্রাঙ্গণ আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে সরকারি ঝিলমিল প্রকল্পের কাজ কৌশলে বাধাগ্রস্ত করা এবং বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়গুলো অনুসন্ধানে প্রাধান্য পাবে।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নসরুল হামিদ বিপুর দেওয়া নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তার সম্পদ বেড়েছে ২২৮ শতাংশ।