ঝালকাঠিতে জিয়াউলের সম্পদের পাহাড়

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি
অব. মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান
ঝালকাঠিতে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শেখেরহাট ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামে মালটিপারপাস এগ্রো ফার্মের নামে বিশাল এলাকাজুড়ে করেছেন মাছের ঘের, গরুর খামার, নার্সারি ও বিলাসবহুল বাংলো। প্রায় তিনশ' বিঘা জমিও কিনেছেন শেখেরহাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। এসব জমি কেনার ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা একটি হত্যা মামলায় খিলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। এলাকায় তিনি তপু মিয়া নামে পরিচিত। সাবেক সরকারের আমলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন তিনি নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অনুসন্ধানকালে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতাপপুর গ্রামে তার তাসফিয়া মালটিপারপাস এগ্রো ফার্মে জমি রয়েছে ১৫ বিঘা। একই ইউনিয়নের বংকুরা ও কতুবকাঠি মৌজায় রয়েছে কমপক্ষে ২৮৫ বিঘা জমি। এসব জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এছাড়া তার এগ্রো ফার্মে ৬টি মাছের ঘের, গরুর খামার, নার্সারি ও বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানের পরে মূল গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় এই ফার্মে দায়িত্বরতরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পদ বাদে এই ইউনিয়নেই জিয়াউল হাসানের পৈতৃক বাড়িতে করা হয়েছে মাদ্রাসা ও সরকারি খরচে সাইক্লোন শেল্টার। এখানেও একটি বাংলো বাড়ি রয়েছে। জিয়াউল হাসানের এগ্রো ফার্মের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, এই খামার করার সময় স্থানীয় জমির মালিকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শেখেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জমি কিনতে গিয়ে মালিকদের জোরজবরদস্তি ও নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে।র্ যাবের প্রভাব খাটাতো মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়র্ যাবের গাড়িতেই ফার্মের মালামাল ও মাছের খাবার আনতেন জিয়াউল হাসান। সরকারি চাকরির সুবাদে জিয়ার যে বৈধ আয় ছিল তা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয়দের।