বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় 'ফিরোজা'য় ফেরেন তিনি। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, 'মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ১২ দিন পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন ম্যাডাম। এখানেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কাজও চলছে।' সন্ধ্যা ৭টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে পাজারো জিপে চড়ে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। রাত সাড়ে ৮টায় বাসায় পৌঁছায় তার পাজারো জিপ। সড়কের দুই ধারে হাজার হাজার নেতাকর্মী করতালি ও স্স্নোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িকে কর্ডন করে গুলশানের বাসায় নিয়ে আসে। গত ৮ জুলাই গভীর রাতে 'হঠাৎ' অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর আগে গত ২ মে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইসময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দিয়েছিলেন। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমন পরিপ্রেক্ষিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। গত ৭ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দন্ড মওকুফ করে তাকে মুক্তির আদেশ দেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।