শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে কমিশনার, ডিসি-ইউএনওরা

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটিতে (গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) পরিবর্তন এনেছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। সভাপতি পদে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), ইউএনও বা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের মনোনীত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিসি বা তার মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলো। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৩৩ হাজার ৬৫০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮ হাজার ৩৪০টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১ হাজার ৪১৭টি, কলেজ ২ হাজার ৪০৭টি, মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৫৬টি এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২৩০টি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে সভাপতি ছাড়াও ১১ থেকে ১৪ জন সদস্য থাকেন। এই কমিটিগুলো প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, নিয়োগ, বাজেট অনুমোদন ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে, তবে বিদ্যমান কমিটির অন্য সদস্যরা তাদের পদে বহাল থাকবেন।' প্রসঙ্গত, ব্যতিক্রম ছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই অঘোষিতভাবে দলীয় ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়। এসব পরিচালনা কমিটি কার্যত প্রতিষ্ঠানের খুব একটা উপকারে আসেনি; বরং এসব কমিটির বিরুদ্ধে নানা সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। \হ