দীপু মনি চার ও জয় পাঁচ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া মুদি দোকানি আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনিকে চার দিন এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে দীপু মনি ও জয়ের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। আবু সাঈদ হত্যা মামলাটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রথম মামলা।
রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উলেস্নখ করেন, 'ভিকটিমকে হত্যায় হুকুমদানকারী, উসকানিদানকারী ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের নামসহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।'
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা মহানগর পুলিশ ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ও গ্রেপ্তারের মধ্যে সোমবার দীপু মনি ও জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন তার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এরপর ১৪ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ
পলক ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দিশেহারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও বেশিরভাগ থেকে যান দেশে। তাদের অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
আর ক্ষমতার পালাবদলের পর আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে।