স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের কথা ভাবা হচ্ছে তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের কথা ভাবছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের নতুন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে দপ্তর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্য-উপদেষ্টা। সেখানে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা ভেবেছেন। এটি প্রাথমিকভাবে ভেবেছেন। সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনা করবেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারে গুরুত্বারোপ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দ্রম্নত সময়ের মধ্যে বিচার চান। আর কোনো প্রহসন, টালবাহানা দেখতে চান না। নিজের ছবি কম প্রচার করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সেন্সর বোর্ডকে দ্রম্নততার সঙ্গে পুনর্গঠন করব। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব বলে জানান নাহিদ ইসলাম। একই সঙ্গে আশি-নব্বই দশকের প্রজন্ম ছাড়া কেউ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখে কিনা তার জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সেন্সর বোর্ড, জুরি বোর্ডসহ এ ধরনের যে কমিটিগুলো রয়েছে, সেগুলো দ্রম্নত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করা উচিত। অনেকগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর অবস্থায় আছে। সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যদি নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, সেই চলচ্চিত্রগুলোকে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি কিংবা ব্যক্তিগত পরিচয় যাতে বিবেচনায় না নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সেন্সর বোর্ডের কারণে যে ছবিগুলো আসেনি সেগুলো নিয়ে আমরা দ্রম্নতই বসব। সেন্সর বোর্ডকে দ্রম্নততার সঙ্গে পুনর্গঠন করব। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব। নাহিদ ইসলাম বলেন, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রম্নততার সঙ্গে গতিশীল করা দরকার আধুনিকীকরণ করা দরকার। সেগুলো খুবই স্থবির অবস্থায় আছে। বিটিভিকে দেখলে মনে হয় এটা আশি-নব্বই দশকের বিটিভি। ওই জেনারেশনই বিটিভি দেখে, আর কেউ বিটিভি দেখে কিনা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এর একটা দিক হলো এর দলীয়করণ, রাজনীতিকীকরণ আছে, আরেকটা হচ্ছে, কনটেন্টগুলো মনে হচ্ছে এ প্রজন্মের জন্য নয়। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকীকরণ করা উচিত। সরকারি একটা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কিছু সরকারের অ্যাসাইন করা লোক বসবে, কিছু পদ দখল করে বসে থাকবে, এ রকমটা যাতে না হয়। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের চলচ্চিত্রের জায়গা থেকে অনেক আকাঙ্ক্ষা। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে।