পাগলা মসজিদে মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা
প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ৯টি সিন্দুকে পাওয়া গেল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। এর মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রাও রয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সিন্দুক খুলে টাকা-পয়সা বস্তাভর্তি করা হয়। এরপর শুরু করা হয় গণনা। দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ' শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সাড়ে তিনশ' জন টাকা গণনার কাজ করে।
৩ মাস ২৬ দিন পর খোলা হয় কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দান সিন্দুক। সিন্দুকগুলো খোলার পর পাওয়া গেল রেকর্ডসংখ্যক ২৮ বস্তা টাকা। বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে। সিন্দুক খুলে টাকা বের করার পর দিনভর চলে গণনা।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল খোলা হয়েছিল দান সিন্দুকগুলো। তখন ২৭টি বস্তার মধ্যে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য,
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং দান সিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমতের উপস্থিতিতে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় ৯টি দান সিন্দুক খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। প্রথমে টাকাগুলো সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢেলে গণনা শুরু করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, 'ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপেস্নক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রজেক্ট করা হবে। মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলাখ মুসলিস্ন যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপেস্নক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে ডিজাইন ও নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপেস্নক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।