৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান সারজিস

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, '৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যারা সেই প্রশ্নগুলো কিনেছে, সেই কালপ্রিটদের তথ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া ও শাস্তির আওতায় আনা হোক। এ ছাড়া বাকি ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী; যারা মেধা, পরিশ্রম ও যোগ্যতা দ্বারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে; ওই কালপ্রিটদের জন্য তাদের সঙ্গে এত বড় অন্যায় করা কখনোই যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।' এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম এসব কথা বলেন। সারজিস আলম ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, 'একটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করা যে কতটা অক্লান্ত পরিশ্রম ও সৌভাগ্যের বিষয়, তা শুধু তারাই জানে, যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এই দুর্নীতির দায় আপনাদেরই নিতে হবে। তাই পিএসসি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই প্রশ্ন ফাঁস ও প্রশ্ন ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনুন। কিন্তু অন্য ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এক বছর নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।' এদিকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাছে তিনটি নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার। পিএসসির একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার ৪৬তম বিসিএস, রেলওয়ের পরীক্ষা ও স্টাফ নার্স পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করে এসব নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়, তা জানতে চাওয়া হয়। পিএসসির কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে। আমরা সেই উত্তরগুলো দেওয়ার কাজ করেছি, সেগুলো পাঠানো হয়েছে। উত্তর পেলে বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার কিছু দিকনির্দেশনা দিতে পারে।' 'বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস' শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এই সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ কয়েকটি অভিযোগে পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা এখন কারাগারে রয়েছেন।