অবসরের স্বাভাবিক বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও শেখ হাসিনা সরকারের সময় চুক্তিতে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব পদমর্যাদার ডজনখানেক কর্মকর্তার চাকরি গেছে।
ক্ষমতার পালাবদলে পরিকল্পনা বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও এনবিআর, বিডা, বেসামরিক বিমান চলাচল, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংসদ সচিবালয়, রেলওয়ে, সড়ক পরিবহণের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তাদের বিদায় নিতে হচ্ছে।
আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করা যে কর্মকর্তা সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় জননিরাপত্তা সচিবের ভূমিকায় ছিলেন, তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে নতুন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষপদে পরিবর্তনের হওয়ায় বাদ পড়লেন এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বুধবার আলাদা প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
চুক্তি বাতিল করে যাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে- পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের, (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, সড়ক, পরিবহণ বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুলস্নাহ নুরী, বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম ওয়াহিদা আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য (সচিব) মো. খাইরুল ইসলাম।
জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর
সমালোচনায় থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তার চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন বলে বিবেচনা করছে।