সংখ্যালঘু ইসু্যতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই :সেনাপ্রধান
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, 'সংখ্যালঘু ইসু্যতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী সেনানিবাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন সেনাপ্রধান।
এ সময় তিনি বলেন, 'দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে
আসছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের ২০ জেলায় ৩০টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর একটিও কাম্য নয়। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।'
সেনাপ্রধান বলেন, 'এ সরকার কিছু সংস্কার করতে চাচ্ছে, একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সেটার জন্য যত ধরনের সহযোগিতা এ সরকার চাইবে সেটা আমরা দেব।'
তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জরুরি। অনেকগুলো উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। আশা করি সেগুলোও উদ্ধার হয়ে যাবে।'
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, 'পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। আমি বলব যে, পরিস্থিতি এখন আমাদের
নিয়ন্ত্রণে। এটার জন্য আমরা সবাই কাজ করেছি। আপনারাও আমাদের সাহায্য করেছেন, এ জন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।'
তিনি বলেন, 'পুলিশ কিছু ট্রমার মধ্যে আছে। এটা কাটিয়ে উঠলে পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। পুলিশ বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এটা একটা ভালো জিনিস। আমরা পুলিশকে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছি। তারা সম্পূর্ণভাবে যখন কাজ শুরু করে দেবে, যখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে; তখন আমরা ইনশালস্নাহ সেনানিবাসে ফেরত যাব। সে পর্যন্ত আমরা থাকব।'
বিমানবন্দর বা সীমান্ত বন্দর থেকে যাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, 'জীবন বিপন্ন হয় ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে এমন কাউকে কাউকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। এবং তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে বা মামলা হয়, অবশ্যই তারা শাস্তির আওতায় যাবেন। অবশ্যই আমরা চাইব না জুডিশিয়াল বহির্ভূত কোনো অ্যাকশন তাদের ওপর হোক, বিচারবহির্ভূত কোনো হামলা তাদের ওপর হোক। যাদের ওপর বিচারবহিভূত হামলার হুমকি রয়েছে তাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। যেই হোক, যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক, যে ধর্মেরই হোক। সেটা আমরা করব।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, 'ওয়ান-ইলেভেনের মতো কিংবা অপারেশন ক্লিন হার্টের মতো সেনাবাহিনী কঠোর হবে না। আমরা এই সরকারকে সার্বিকভাবে সাহায্য করব, সরকার কিছু সংস্কার করতে চাচ্ছে এবং একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন করতে চাচ্ছে সেটার জন্য যে ধরনের যতদূর সহায়তা তারা আমাদের কাছে চাইবে, সেটা আমরা করব।'
এর আগে সেনাপ্রধান রাজশাহীর অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপস্নব বিজয় তালুকদার। এছাড়াওর্ যাব-৫ ও বিজিবির কর্মকর্তারাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।