খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৪.১০ শতাংশ, দেশের ইতিহাসে রেকর্ড

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশে এক ধরনের অচল অবস্থা দেখা যায়। ফলে ঢাকা কার্যত দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিল, বন্ধ ছিল পণ্যের সরবরাহও। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এভাবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি আর দেখা যায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে খাদ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় জুলাই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আগের মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহণ ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। জুলাই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, জুন মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আন্দোলনের ফলে তিন খাতেই বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। \হ