অবৈধ অস্ত্র থানায় জমা দিতে ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, 'যাদের হাতে আন-অথরাইজ ওয়েপন বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে, আগামী ৭ দিনের (সোমবারের) মধ্যে নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন, তাদের বিরুদ্ধে দুটি চার্জ লাগবে। দুটি মামলার মধ্যে একটি হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র মামলা, অপরটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে।'
সংঘাতে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সোমবার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'যদি নিজেরা জমা দিতে না পারেন, তাহলে কারও মাধ্যমে দেন। যেটাই হোক এ রাইফেলগুলো ফেরত দরকার আমাদের। না হলে আমরা হান্টিং শুরু করব। যেটা বাইরে পাওয়া যায় না, সেই ওয়েপন কীভাবে এদের হাতে গেল এবং এই ওয়েপন আনসারদের ওখানে ফায়ার করল। এবং একটা ভিডিও আমি দেখলাম, একটা সিভিলিয়ান ছেলে ৭.৬২ রাইফেল হাতে নিয়ে চলে গেছে, তার মানে এই রাইফেল হাতে আসে নাই। হতে পারে একটা দেশে? কেমন কথা? আমরা চেষ্টা করব এদের খুঁজে বের করার।'
এক প্রশ্নের জবাবে অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'আমি এ ধরনের স্বৈরাচার ব্যবস্থা দেখি নাই। আপনারা আর্মির লোকজন আসছেন, তাদের স্বৈরাচার বলেন, তারা তো রাইফেল কোনো সিভিলিয়ানের হাতে তুলে দেয় নাই।'
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধে করে দেওয়ার
যে ঘোষণা তিনি রোববার দিয়েছিলেন, সেটি 'রাগের মাথায়' বলেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, 'এটা রাগের মাথায় বলেছি। এটা আসলে আমার কাজ না। ভবিষ্যতে আমি আশা করি, আমরা থাকি না থাকি, যারা পলিটিকস করেন, আপনারা যদি এটা (বন্ধ) করেন, আপনারা যারা আছেন মিডিয়া, আপনারা স্ট্রাইকে চলে যাবেন।'
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে আশা করি, আমরা থাকি বা না থাকি, যারা পলিটিক্স করেন তারা সহিংসতা হামলা করলে তা প্রকাশ করবেন। প্রকাশ না করতে পারলে সাংবাদিকরা ধর্মঘটে চলে যাবেন। ধর্মঘটে গেলে কি আছে, এক মাস না খেয়ে থাকবেন। মরে তো যাবেন না। সংঘর্ষের ঘটনা একটি বেসরকারি টিভি দেখিয়েছে। আমি তাই ভাবছিলাম, অন্যরা দেখাবে।
তিনি বলেন, কোনো মিডিয়ার বন্ধের পক্ষে আমি নই। আমি সব মিডিয়াতে গিয়েছি। প্রত্যেককে চিনি আমি।
এর আগে রোববার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'চাটুকারিতা' করলে মিডিয়া (গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান) বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন।