এবার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এবং তার স্ত্রী ইসিবির চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সেই সঙ্গে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী হিসাব জব্দ করতে হবে। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের এই নির্দেশনার ফলে এ দুজনের ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়ী ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।
একই দিনে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর অ্যাকাউন্ট জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
এর আগে রোববার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে সংস্থাটি।
অন্য দিকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও
তার স্ত্রী শারমিন মুশতারী এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হলে আগামী ৩০ দিনের জন্য সেগুলোর লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
অর্থপাচার নিরোধ সংক্রান্ত ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ আদেশ দেওয়া হয়।
বিএফআইইউ আরও বলেছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
লেনদেন স্থগিত করার এই নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯এর ২৬(২) ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর সোমবার মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তার স্ত্রীর হিসাব স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হলো।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
\হ