শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তিন সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকার পর সারাদেশে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
আগামী ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর আগে সোমবার থেকে মালবাহী এবং মঙ্গলবার থেকে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে।
অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হবে আজ বিকাল ৫টা থেকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক নাহিদ হাসান খান বলেন, রোববার রেলভবনে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আগামীকাল (আজ) মালবাহী ট্রেন, ১৩ তারিখ থেকে মেইল লোকাল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার এবং ১৫ আগস্ট থেকে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করবে।'
রেলভবনের এ সভায় পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা অংশ নেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কার্যদিবসে ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত এলো।
কোটা আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার জেরে গত ১৮ জুলাই থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে
দেওয়া হয়। ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১ আগস্ট স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দু'দিন চলার পর ৩ আগস্ট শনিবার ফের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।
তবে ১৮ জুলাই 'কমপিস্নট শাটডাউন' কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চালুর কথা জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে সেদিনও কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সেদিন রেল ভবনে এক বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় রেলপথ মন্ত্রণালয়।