খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন :ফখরুল

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মির্জা ফখরুল ইসলাম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারলে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, তার বিশ্বাস সেনাবাহিনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না এবং সম্প্রতি শেখ হাসিনার পতনের যে আন্দোলন হয়েছে, সেটির সঙ্গে উগ্রবাদী কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতাও নেই। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, 'তিনি খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি মাল্টিডিসিপিস্ননারি রোগে ভুগছেন। দেশে তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমরা আদালত এবং সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন বিদেশ যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি শারীরিককভাবে ফিট থাকেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন। ' বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বিএনপি এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের সময় নির্বাচনী কাঠামো কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা দূষিত হয়ে গেছে এবং এখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অবস্থানে নেই। এ কারণে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ' তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়- সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। এটির সত্যতা কী? জবাবে ফখরুল বলেছেন, 'রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। এটি কোনো জবরদস্তি ছিল না, বিপস্নব ছিল। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাড়ির দিকে আসছিল; তার নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বলেছে তার সামনে দুটি অপশন রয়েছে : এখানে থাকুন মানুষের রোষে পড়ুন, আর নয় দেশ ছাড়ুন। তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ' সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অসাধারণ। হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ১ \হএসব অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। যখন আমাদের দেশে বা অন্য দেশে পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশে কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে, দুর্ভাগ্যবশত দায়িত্বে থাকা দলের নেতারা ভিকটিমের শিকার হন। তারা মুসলিম হোক আর হিন্দু হোক।' সূত্র: এনডিটিভি।