প্রধান বিচারপতিসহ শপথ নিলেন দুই উপদেষ্টা

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রোববার বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে শপথবাক্য পাঠ করান -ফোকাস বাংলা
দেশের পঞ্চবিংশততম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে তিনি নতুন দায়িত্বের শপথ নেন। অন্যদিকে দুই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও ডা. বিধান রঞ্জন রায় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের দপ্তর বণ্টন করা হয়। সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করার পর শনিবার রাতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদকেই দেশের বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পদে দেখতে চেয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শুরু হয় শপথ গ্রহণ। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন। শপথ শেষে নিয়ম অনুযায়ী শপথ বইতে সই করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান। শপথ নিলেন আরও দুই উপদেষ্টা, দপ্তর বণ্টন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়। রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ নেওয়া এই দুজনের দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের দপ্তর বণ্টনের কথা জানানো হয়। সাবেক কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ডা. বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন। তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফরিদা আখতার, নূর জাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, সালেহউদ্দিন আহমেদ, এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, এএফ হাসান আরিফ, মো. তৌহিদ হোসেন এবং আ ফ ম খালিদ হাসান। ১৭ সদস্যের এই অন্তর্র্বর্তী সরকারের তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তারা সেদিন শপথ নিতে পারেননি। তাদের মধ্যে সুপ্রদীপ চাকমা ও অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় রোববার শপথ নিলেন। অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে ফেরার পর তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।