শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বৈঠক

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছক

সব মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করার আলোচনা
যাযাদি রিপোর্ট
  ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছক

দেশের স্থবির অর্থনীতি চাঙা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরিসহ একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাই উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকেই এসব ব্যাপারে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব সেক্টরের সংস্কার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।

শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এছাড়া এই বৈঠকে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সব মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করার আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমাদের উপদেষ্টা প্যানেলে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ব্যক্তিদের মনোনীত করেছি এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমরা দুজন উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছি। এর পাশাপাশি উপদেষ্টাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছাত্ররা কাজ করার সুযোগ পাবেন।' তাদের জন্য 'সহকারী উপদেষ্টা' পদ সৃষ্টি করে সরকারের সঙ্গে যুক্ত করার আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বলা হয়েছে, যত দ্রম্নত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এখনো রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ নেই, শিক্ষার্থীরা রাস্তা ম্যানেজমেন্ট করছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি না যে কালই (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) খুলে দেব।' শিক্ষক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যত দ্রম্নত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'

প্রথম বৈঠকে সব সেক্টরের সংস্কার নিয়ে আলোচনার বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে, সবার সঙ্গে কথা বলে রিফর্ম এজেন্ডা ঠিক করে আলাপ-আলোচনায় যাওয়া হবে।'

সব মন্ত্রণালয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কীভাবে শিক্ষার্থীদের এই কাজে সম্পৃক্ত করা হবে, সেই কাঠামো কী হবে সেটি পরে ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলো আন্দোলনকারী ছাত্রদের 'সহকারী উপদেষ্টা' বা এ রকম কোনো পদায়ন করে ছাত্রদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদারকির সুযোগ করে দেওয়া হবে।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য এবং ছাত্রদের কণ্ঠ থাকার জন্য দুজন ছাত্র প্রতিনিধিও এই উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছে। এর পাশাপাশি সামনের দিনে ছাত্র প্রতিনিধিরা অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবে।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের যে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ছিল, আমাদের বড় বড় দলগুলোও কিন্তু সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে জায়গায় আমাদের ছাত্র সমাজের মাধ্যমেই একটি অভু্যত্থান সংঘটিত হয়েছে। এই ছাত্রদের ওপর আস্থা রেখেই জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। এখন আমাদের ছাত্রসমাজই যেহেতু সরকার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, আমি আশা করব আমাদের সাধারণ জনগণও এই ছাত্রসমাজের ওপর আস্থা রাখবে।'

'বর্তমান সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আমরা আজই দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি, আমরা আজ থেকেই কাজ শুরু করব। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমরা এখন থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দেব।'

এদিকে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সব সেক্টরের রিফর্ম (সংস্কার) নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এভাবে চলে না, চলতে পারে না, সিস্টেমটা আমাদের বদলাতে হবে। সেই রিফর্মগুলো একা তো আর করা যাবে না। সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে, সবার সঙ্গে কথা বলে রিফর্ম এজেন্ডা ঠিক করে আমরা আলাপ-আলোচনায় যাব।'

তিনি আরও বলেন, 'বৈঠকে অর্থের বিষয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতগুলো শুধু চালু করলেই হবে না, সক্রিয় করতে হবে। সেখানে নেতৃত্বের স্থানে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন যেগুলোতে আছে, অনতিবিলম্বে সেসব পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।' 'ব্যবসাকে উজ্জীবিত করার জন্য যত ধরনের সুরক্ষা নেওয়া যায়, সেটাকে আমাদের চিহ্নিত করে সেই সুরক্ষাগুলো আমাদের নিতে হবে। যে ব্যবসায়ীরা হতোদ্যম হয়ে গেছেন তাদের যাতে আবার উজ্জীবিত করা যায়।'

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, 'জনগণের জীবন-জীবিকার কষ্ট লাঘব হবে, বাজারের ক্ষেত্রে যে নিয়ন্ত্রণ, অর্থের ক্ষেত্রে যে নিয়ন্ত্রণ সেটাও অগ্রাধিকার পাবে অর্থ মন্ত্রণালয় যখন পরিকল্পনা করবে সেখানে।' বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনার জন্য একটু সময় লাগবে। আজই তা হয়ে যাবে না বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।

এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মেয়াদের বিষয়ে এখন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। আপনি কী রিফর্ম চান সেটা না বুঝে তো আমি মেয়াদের কথা বলতে পারবো না। রিফর্ম যদি আপনারা না চান তাহলে আরেক কথা। কাজেই এখন মেয়াদ মেয়াদ করে অস্থির হওয়ার কিছু নেই।'

রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'আমরা সবাই যাতে দেশে একটা গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে পারি সেটার প্রস্তুতির জন্যই তো এই অন্তর্র্বর্তী সরকার। সে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যেটুকু সময় দরকার শুধু সেটুকু সময়ই আমরা নেব। শেষপর্যন্ত গণতন্ত্রের দিকেই আমাদের যাত্রা করতে হবে।'

শিক্ষা মন্ত্রণালয় তো প্রধান উপদেষ্টার অধীনে। তিনি কি বৈঠকে বলেছেন এইচএসসি পরীক্ষা কবে নাগাদ শুরু হতে পারে- জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, 'তিনি এটা বলতে পারেননি। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার একটা সম্পর্ক রয়েছে। ওইটাকে অ্যাড্রেস করার সঙ্গে সঙ্গে এটাও অ্যাড্রেস হবে।'

বৈঠকে অর্থ পাচার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অর্থ মন্ত্রণালয়ের যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনি বলেছেন যত রকমের ইভিল প্র্যাকটিস আছে সেগুলোকে যদি অ্যাড্রেস করতে হয়- অনেক জায়গায় পদ শূন্য হয়ে আছে। সঠিক লোক দিয়ে সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে একটি দুর্নীতি বা একটি ব্যাড প্রাকটিস নিয়ে আজ আলোচনা হয়নি।'

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গের্ যাব এবং পুলিশের প্রতিনিধিরা বসবেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান এ উপদেষ্টা।

আপনারা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আইনটি বাতিল করবেন কি না- এ প্রশ্নে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বলেন, 'কতগুলো ক্ষমতা একটা গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে পড়লে অসুবিধা হয় না। কিন্তু সরকার যখন অগণতান্ত্রিক হয়ে পড়ে তখন এটার অপপ্রয়োগ হয়। কোন বিধানগুলো অপপ্রয়োগ করা যাচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করে বাতিলের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।'

বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির কথা শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটার ব্যাপারে কথা হয়েছে। এখানে আইজিপিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার কাছে কী তথ্য আছে? ওনার কাছে যে তথ্য আছে, সেটা আবার যা প্রচার হচ্ছে সবসময় তা মিলছে না। উনাদের অনেকগুলো থানাও তো ফাংশনাল না। তাই ওনার কাছে সব তথ্য থাকবে, সেটাও আমরা ধরে নিতে পারি না। কথা হয়েছে, যত দ্রম্নত পুলিশ যাতে (কাজে) নেমে যায়। আমরা সবাই যেন পুলিশকে সাহায্য করি।'

চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। সে বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে- এ বিষয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, 'আজ এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।'

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হবে কি না- জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিস্টেম পরিবর্তনের জন্যই তো শিক্ষার্থীরা লড়াই করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি বলেন, 'আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের ব্যাপারে বলা হয়েছে। কীভাবে বিচারটা নিশ্চিত করলে এটা স্বচ্ছ হবে এবং এ ঘটনা জীবনে কোনোদিন পুনরাবৃত্তি হবে না। সেটার জন্য কোন পথে আমরা যাবো, সে পথগুলো কী সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। এটার একটা উত্তর আপনারা সহসাই পেয়ে যাবেন। আমরা ওইটা নিশ্চিত করবো যে, প্রত্যেকটা গুলির (ঘটনার) আমরা বিচার চাইব। এটা যাতে আর না হয়। রিফর্মের জন্য ওই রকমই একটা স্বচ্ছ অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি।'

এদিকে সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে দেশের আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতেই অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার দেবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথমত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির চেষ্টা করবে। দ্বিতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানো, যেটি চরমভাবে কমে গেছে বলে আমি মনে করি।'

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার দিনই দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যদের অনেকে হতাহত হন। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, আওয়ামী লীগ অফিস ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর আসে। থানায় হামলার কারণে দেশের অনেক থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ভেঙে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা। নিরাপত্তা শঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা।

এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা কাজে না থাকায় শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। এছাড়া সরকার পতনের ওপর ঢাকাসহ সারাদেশেই বিভিন্ন স্থানে রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির খবর আসছে যা প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে মানুষ।

সরকার পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা কাজ করছে, সঙ্গে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের।

অন্তর্র্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন রয়টার্সকে বলেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন 'খুবই উদ্বিগ্ন'। তবে কিছু বিষয় 'সামান্য অতিরঞ্জিত' হয়েছে।'

এদিকে ছাত্র আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ রংপুরে যাচ্ছেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুজন ছাত্র প্রতিনিধিও তার সঙ্গী হবেন।

উলেস্নখ্য, গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে আন্দোলন জোরদার হয়। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পস্ন্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

এরপর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ জন (তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ নিতে পারেননি) উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে