বাংলাদেশের নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা সবাই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, 'বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অন্তর্র্বর্তী সরকার কী পরিকল্পনা নেয় যুক্তরাষ্ট্র সেটা দেখতে চায়।'
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'বাংলাদেশে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নিয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যোগাযোগ আছে কি না।'
জবাবে মিলার বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত আমাদের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আমি জানি না, তিনি তার (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে কথা বলেছেন কি না। তবে তিনি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যোগাযোগের প্রকৃতিটা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার হেসে বলেন, 'তিনি (ইউনূস) এক ঘণ্টা বা তার একটু আগে বা দুই ঘণ্টা আগে শপথ নিয়েছেন।'
আরেক প্রশ্নে সাংবাদিক বলেন, তিনি যোগাযোগের বিষয়টি নির্দিষ্ট করছেন না। তবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এই যোগাযোগ সম্পর্কে তিনি জানতে চান।
জবাবে মিলার বলেন, 'আমি গোপনীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা বলছি না। তবে আমরা একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছি, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে অন্তর্র্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক পরিকল্পনা কী যুক্তরাষ্ট্র সেটা দেখতে চায়।'
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সরকারের (অন্তর্র্বর্তী) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আপনি কি পররাষ্ট্র দপ্তর বা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন?
জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, 'আমি আগেই বলেছি, আমাদের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা তাকে সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বলেছি, যেহেতু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র নিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে সুতরাং আমরা এই সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।'
এদিকে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে ও এই প্রক্রিয়া অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।