শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
নতুন সরকারকে মোদি ও মমতার অভিনন্দন

শান্তি-নিরাপত্তা-উন্নয়নের স্বার্থে দেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ ভারত

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
শান্তি-নিরাপত্তা-উন্নয়নের স্বার্থে দেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ ভারত

বাংলাদেশের নতুন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়, যিনি এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন।

এর কিছু সময় পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্সে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।

বার্তায় মোদি বলেন, 'নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় মুহাম্মদ ইউনূসকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমরা আশা করছি, দ্রম্নতই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়া হবে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও সে সুবিধা পাবে।'

শেখ হাসিনার হপতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হামলা, ভাঙচুর ও হতাহতের খবর আসতে থাকে।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মোদি বলেন, 'উভয় দেশের জনগণের যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যেতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ ভারত।'

এদিকে, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের হাল ধরায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, 'অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশে যারা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। আশা করি, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরও ভালো হোক- এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।'

তিনি বলেন, 'আশা করি, খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো।'

গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে তার যাওয়ার কথা বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সরকারের গভীর সম্পর্কের কথা দুই দেশের রাজনীতিবিদের মুখে ১৫ বছর ধরে বহুবার উচ্চারিত হয়েছে।

জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে যান শেখ হাসিনা। সে সময় দেশটির সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

শেখ হাসিনার পতনের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হয়, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে।

তবে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার পরপরই শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে