গাজীপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ-গুলি, আহত ১৬

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের পর এবার গাজীপুর জেলা কারাগারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে উত্তেজনা ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন বন্দিরা। কারাগারের বাইরে থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনায় ৩ কারারক্ষীসহ আহত হয়েছেন ১৬ জন। এদিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বন্দিদের পালানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বালাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থানে নতুন কারা সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা কারা হাসপাতালের চিকিৎসক মাকসুদা বলেন, 'কারাগারে বন্দিরা বিদ্রোহ করেছেন। এ ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ মাথায়, কেউ চোখে, কেউবা পায়ে আঘাত পেয়েছেন। আহত সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন কারাবন্দি ও তিনজন কারারক্ষী আছেন।' জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কের পাশেই গাজীপুর জেলা কারাগারের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন কারাগারের বন্দিদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের বন্দিরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। কারাবন্দিরা মুক্তির দাবিতে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারাগারের ভেতরে গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আর কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। দুপুরে জেলা কারাগার ফটকের সামনে গিয়ে বেশ কয়েকটি সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখা যায়। কারাগারের বাইরে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। কারারক্ষীদের সাদা পোশাকে কাজ করতে দেখা গেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের কারারক্ষীদের জিম্মি করে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যান। কারারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন ৬ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন জঙ্গি। বন্দিদের বিক্ষোভ এবং পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বালাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের বিষয়টি জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা স্বীকার করে বলেন, তার পরিবর্তে নতুন জেল সুপার মাইন উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।