আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত থাকবে। এরপর সকাল থেকে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সোমবার রাতে এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন চলাকালে কয়েক দফায় সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশে জারি করা হয় কারফিউ।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৫ জুলাই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
এর আগে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
'বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।'
কোটা আন্দোলন ঘিরে স্থগিত করা হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। বন্ধ করা হয় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের ডাকা সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে ব্যাপক সহিংসতার কারণে সারাদেশে ঝরে যায় অনেক তাজা প্রাণ। শিক্ষার্থী এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে ফের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ঘটে শতাধিক মৃতু্যর ঘটনা। বিক্ষোভকারী বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, থানা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার আবারও সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পাশাপাশি কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর সন্ধ্যায় আইএসপিআর সরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বার্তা জানাল।